5:10 pm, Saturday, 13 December 2025

মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান

মৌলভীবাজার, ১১ ডিসেম্বর — মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেম নগরে অবস্থিত ‘রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি’ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের পর বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বাংলোবাড়িটি পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ—সরকারি খাসজমিতে নির্মিত এ বাড়িতে অপরিচিত মানুষের আনাগোনা, সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক আড্ডা চলে দীর্ঘদিন ধরেই।

স্থানীয়রা দাবি করেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে সরকারি খাসজমিতে কোটি টাকার বাংলোবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করেছেন ২৬ বছর বয়সী আমেরিকা প্রবাসী সুনামগঞ্জের যুবক হাসান আহমদ।

পুলিশ জানায়, জমি দখল, পাহাড়ি টিলা কর্তন ও গাছ কাটার বিষয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি হাসান আহমদ। বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। অভিযুক্ত আনোয়ারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস বলেন, “বাংলোবাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে গোয়েন্দা পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ দাবি করেন, তিনি আনোয়ারকে বিশ্বাস করে জমি ও বাড়ি নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা দেন। দেশে ফিরে এসে কাজের সঙ্গে টাকার কোনো মিল না পাওয়ায় দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তার অভিযোগ, আনোয়ার ১৩ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে গেছে এবং এখন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান

Update Time : 05:50:09 pm, Thursday, 11 December 2025

মৌলভীবাজার, ১১ ডিসেম্বর — মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেম নগরে অবস্থিত ‘রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি’ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের পর বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বাংলোবাড়িটি পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ—সরকারি খাসজমিতে নির্মিত এ বাড়িতে অপরিচিত মানুষের আনাগোনা, সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক আড্ডা চলে দীর্ঘদিন ধরেই।

স্থানীয়রা দাবি করেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে সরকারি খাসজমিতে কোটি টাকার বাংলোবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করেছেন ২৬ বছর বয়সী আমেরিকা প্রবাসী সুনামগঞ্জের যুবক হাসান আহমদ।

পুলিশ জানায়, জমি দখল, পাহাড়ি টিলা কর্তন ও গাছ কাটার বিষয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি হাসান আহমদ। বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। অভিযুক্ত আনোয়ারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস বলেন, “বাংলোবাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে গোয়েন্দা পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ দাবি করেন, তিনি আনোয়ারকে বিশ্বাস করে জমি ও বাড়ি নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা দেন। দেশে ফিরে এসে কাজের সঙ্গে টাকার কোনো মিল না পাওয়ায় দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তার অভিযোগ, আনোয়ার ১৩ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে গেছে এবং এখন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।