মৌলভীবাজার | ২০ নভেম্বর ২০২৫ — মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিক সংঘ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি প্রণীত শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চা-শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষা করেছে। ২০ নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল অলমিক ও সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা এ তথ্য জানিয়ে শ্রম আইনের বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রম আইনের ১১৫ ধারায় সকল শ্রমিক বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কথা থাকলেও চা-শ্রমিকদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। একইভাবে ১১৭ ধারায় অন্যান্য খাতের শ্রমিক ১৮ দিনের কাজে ১ দিন মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পান, কিন্তু চা-শ্রমিকরা ২২ দিন কাজের বিনিময়ে মাত্র ১ দিনের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পাচ্ছেন।
চা-শ্রমিকরা ভুমির অধিকার সংরক্ষণের দাবিও জানাচ্ছেন। শ্রম আইনের ৩২ ধারায় কোনো শ্রমিককে চাকুরি শেষে ৬ মাসের মধ্যে বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে, যা চা-বাগানের স্বাভাবিক বসবাসের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
চা-শ্রমিক সংঘ জানিয়েছে, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ চা-শ্রমিকদের বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১০ দফা দাবি শ্রম উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হলেও অধ্যাদেশে তা গ্রহণ করা হয়নি। বিশেষ করে ২৩ ও ২৬ ধারা শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি এবং মালিকদের একচ্ছত্র ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ, জাতীয় ভিত্তিক ইউনিয়ন গঠন ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে সংশোধনের দাবিও অনসাধ্য থেকে গেছে।
চা-শ্রমিক সংঘের নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেছেন, “চা-শ্রমিকদের স্বার্থে বৈষম্যপূর্ণ ধারা সংশোধন, নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ এবং গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবি আমরা অব্যাহত রাখব।”
সম্পাদনায় | এস এম মেহেদী হাসান | E-mail: rupantorsongbad@gmail.com
Reporter Name 


























