12:29 pm, Sunday, 23 November 2025

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ: নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত পরিস্থিতির মুখোমুখি

ঢাকা | ২০ নভেম্বর ২০২৫ — বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ, দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ পলাতক বা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অনেকে কারাগারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ও রাজনীতিতে তাদের পুনরাবির্ভাবের প্রশ্ন উঠেছে।

দলের পলাতক ও কারাগারে থাকা নেতারা আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত করতে বিভিন্ন কৌশল বিবেচনা করছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নেতাদের মধ্যে ক্ষমা চাওয়া বা রাজনৈতিক ভুল স্বীকার করার কোনো ইচ্ছা নেই। আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে ফিরে আসার দুটি সম্ভাব্য পথ দেখছে: গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো বা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে সুযোগ প্রার্থনা করা। তবে নেতারা এখনো কোনোভাবেই দ্বিতীয় পথ গ্রহণ করতে নারাজ।

দলের ভেতরে পদ ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি। শেখ হাসিনার বয়স এবং মৃত্যুদণ্ডের রায় রাজনৈতিক পুনরাবির্ভাবকে জটিল করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, আওয়ামী লীগের পুনরায় কার্যকরভাবে রাজনীতিতে ফিরতে সময় এবং বড় ধরনের কৌশল পরিবর্তন প্রয়োজন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান মনে করেন, নির্বাচন পরবর্তী সরকারের আচরণ ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ও নেতৃত্বের সম্ভাবনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ: নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত পরিস্থিতির মুখোমুখি

Update Time : 01:12:33 pm, Thursday, 20 November 2025

ঢাকা | ২০ নভেম্বর ২০২৫ — বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ, দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ পলাতক বা বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন এবং অনেকে কারাগারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ও রাজনীতিতে তাদের পুনরাবির্ভাবের প্রশ্ন উঠেছে।

দলের পলাতক ও কারাগারে থাকা নেতারা আসন্ন নির্বাচন প্রভাবিত করতে বিভিন্ন কৌশল বিবেচনা করছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নেতাদের মধ্যে ক্ষমা চাওয়া বা রাজনৈতিক ভুল স্বীকার করার কোনো ইচ্ছা নেই। আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে ফিরে আসার দুটি সম্ভাব্য পথ দেখছে: গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো বা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে সুযোগ প্রার্থনা করা। তবে নেতারা এখনো কোনোভাবেই দ্বিতীয় পথ গ্রহণ করতে নারাজ।

দলের ভেতরে পদ ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি। শেখ হাসিনার বয়স এবং মৃত্যুদণ্ডের রায় রাজনৈতিক পুনরাবির্ভাবকে জটিল করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, আওয়ামী লীগের পুনরায় কার্যকরভাবে রাজনীতিতে ফিরতে সময় এবং বড় ধরনের কৌশল পরিবর্তন প্রয়োজন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান মনে করেন, নির্বাচন পরবর্তী সরকারের আচরণ ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ও নেতৃত্বের সম্ভাবনা।