আহমেদ সাজু, সখীপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের নলুয়া বাজার এলাকায় ঘোষণা দেওয়া ইকোপার্ক চার বছর পার হলেও বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি। একবিংশ শতাব্দীর ২০ সালের ৩ মার্চ তৎকালীন সরকার ৬৯০ একর বনভূমি নিয়ে “নলুয়া ইকোপার্ক” গঠনের ঘোষণা দেয়।
প্রস্তাবিত এলাকা নলুয়া ও ঘেচুয়া সহ পাঁচটি মৌজায় বিস্তৃত, যার মধ্যে গজারি বন, সৃজিত বাগান, খাসভূমি, মালিকানা রেকর্ডভুক্ত জমি ও বাইদ বনভূমি অন্তর্ভুক্ত। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সাবেক ও হালদাগসহ প্রতিটি মৌজার সিটম্যাপ জমা দেওয়া হলেও কার্যত এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
বনভূমি কমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা
বনবিভাগ জানায়, সি.এস ও বি.এস রেকর্ড অনুযায়ী বনভূমি ৫২৭.৮০ একর হলেও ৯.৬২ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলে রয়েছে। অথচ পুরনো সি.এস রেকর্ডে বনভূমির পরিমাণ ছিল ৫২৮.০৪ একর। এছাড়া বি.এস রেকর্ডে নলুয়া ০.১১ একর ও ঘেচুয়া ০.১৩ একর কম পাওয়া গেছে। ফলে জটিলতা দূর না হওয়ায় প্রকল্পটি সামনে এগোচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠা হলে সৃষ্টি হবে সম্ভাবনা ও কর্মসংস্থান
স্থানীয়দের ভাষ্য—প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সখীপুরে নতুন পর্যটন সম্ভাবনা তৈরি হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান, গড়ে উঠবে আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব মিয়া বলেন,
“আমাদের আবাদি জমির কিছু অংশ ইকোপার্কে যাওয়ায় প্রথমে আমরা উন্নয়নের আশায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক বছরেও কোনো কাজ শুরু হয়নি।”
নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমন আহমেদ বলেন,
“ইকোপার্কটি চালু হলে সখীপুরের জন্য হবে আশীর্বাদ। জেলার বাইরে সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।”
প্রশাসন ও বনবিভাগের বক্তব্য
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন,
“সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অগ্রগতি সম্পর্কে জানবো।”
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন বলেন,
“ইকোপার্ক বাস্তবায়নে দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সকল জটিলতা নিরসন করে দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।”
সম্পাদনায়: এস এম মেহেদী হাসান
Reporter Name 



























