হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নগরবাসীর জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।
এক ব্রিফিংয়ে তিনি রসিকতা করে বলেন, “হোয়াইট হাউস এখনো আমাকে অভিনন্দন জানায়নি।”
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিউইয়র্কবাসীর কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তার আলোচনা হবে।
ব্যয় সংকট মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ চান মামদানি
জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ইস্যু নিয়েই মামদানি নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্টের জন্য এ নির্বাচনের শিক্ষা হলো — শুধু খেটে খাওয়া আমেরিকানদের জীবনের সংকট চিহ্নিত করাই যথেষ্ট নয়, সেই সংকট মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।”
ট্রাম্পের সমালোচনা
মামদানি অভিযোগ করেন, “ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু ক্ষমতায় এসে সরকারি শাটডাউনের সময় খাদ্য সহায়তা স্থগিত করতে চেয়েছিলেন।”
মূল প্রতিশ্রুতি ও এজেন্ডা
তার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল—
- সিটি বাসে ফ্রি যাতায়াত,
- বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা,
- শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ডে-কেয়ার চালু।
তিনি বলেন, “দেশের রিপাবলিকানরা ভয় পাচ্ছেন, কারণ আমরা সত্যিই এই এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করব।”
নেতৃত্ব দলে পাঁচ নারী কো-চেয়ার
নির্বাচনের পর অন্তর্বর্তীকালীন কার্যক্রম পরিচালনায় পাঁচজন নারীকে কো-চেয়ার হিসেবে ঘোষণা করেছেন জোহরান মামদানি।
এর মধ্যে রয়েছেন—
- লিনা খান, জো বাইডেনের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)-এর চেয়ারম্যান,
- মারিয়া টরেস-স্প্রিংগার, যিনি বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের কারণে ডেপুটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের চমক
শুরুতে তেমন গুরুত্ব না পেলেও মুসলিম এই আইনপ্রণেতা নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের চমকে দিয়েছেন।
তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর প্ল্যাটফর্মকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
সম্পাদনা : এস এম মেহেদী হাসান, মোবাইল : ০১৭১১ ৯৩৪৩৫৮
Reporter Name 




























