12:45 pm, Sunday, 23 November 2025

কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইলেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক

কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইলেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক

লালমনিরহাট | ১২ আগস্ট ২০২৫  নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে পৌর কর, পানির বিল ও অন্যান্য বকেয়া রাজস্ব হালনাগাদ পরিশোধে নাগরিকদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক মো. রাজীব আহসান। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কোনো বেতন, বোনাস বা উন্নয়ন বাজেট না পাওয়ায় পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব আয়ের ওপর নির্ভরশীল। ফলে কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৌর প্রশাসক আরও জানান,

“বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে—একদিকে নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান সেবা চাহিদা, অন্যদিকে পৌরসভার সীমিত রাজস্ব। তারপরও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ন্যূনতম হলেও সব ধরনের সেবা দিতে। তাই সময়মতো পৌর কর পরিশোধ এখন অত্যন্ত জরুরি।”

প্রকৌশল বিভাগের চিত্র

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী বলেন, রাস্তাঘাট, ড্রেন, স্ট্রিট লাইট, পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো সংস্কারে নিয়মিত কাজ করার পরিকল্পনা থাকলেও বাজেট ঘাটতির কারণে অনেক প্রকল্প সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।

“নাগরিকরা নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করলে সেই অর্থ দিয়ে তাদের এলাকায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব। উন্নত পৌরসভা গড়তে সবার অংশগ্রহণ অপরিহার্য,” তিনি যোগ করেন।

অর্থ ও হিসাব বিভাগের মন্তব্য

হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, পৌরসভার বার্ষিক আয় সীমিত হলেও ব্যয় বহুগুণ বেশি। কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, পানি সরবরাহ ও মৌলিক সেবায় প্রায় সম্পূর্ণ বাজেট ব্যয় হয়।

“অনেক নাগরিক ৫–৭ বছর যাবৎ কোনো ট্যাক্স বা পানির বিল পরিশোধ করেননি, তবু সেবা চালু রয়েছে। বিলম্ব না করে সবাই যেন বকেয়া পরিশোধ করেন—এটাই আমাদের অনুরোধ,” তিনি বলেন।

পৌরসভার নতুন উদ্যোগ

পৌরসভা সূত্র জানায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায়ে নাগরিকদের সচেতন করা হবে। বিলম্বকারীদের চিহ্নিত করে নোটিশ প্রেরণের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

নাগরিক সমাজের মতামত

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, নাগরিক সুবিধা পেতে কর প্রদান শুধু বাধ্যবাধকতাই নয়, বরং নৈতিক দায়িত্ব। কর পরিশোধের মাধ্যমে শহরের উন্নয়ন দ্রুত হবে এবং পৌর কর্তৃপক্ষ আরও কার্যকরভাবে সেবা দিতে পারবে।

পৌর প্রশাসকের চূড়ান্ত আহ্বান:
“সেবা নিতে চাইলে পাশে থাকুন—এই আহ্বানেই লালমনিরহাট পৌরসভা এখন প্রত্যাশা করছে সচেতন, দায়িত্ববান ও করপরায়ণ নাগরিকদের সহযোগিতা।”

 

প্রতিবেদক : কল্লোল আহমেদ 

—  সালেহ তাবাসসুম/এস এম মেহেদী

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইলেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক

Update Time : 12:25:15 pm, Tuesday, 12 August 2025

কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইলেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক

লালমনিরহাট | ১২ আগস্ট ২০২৫  নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে পৌর কর, পানির বিল ও অন্যান্য বকেয়া রাজস্ব হালনাগাদ পরিশোধে নাগরিকদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন লালমনিরহাট পৌর প্রশাসক মো. রাজীব আহসান। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কোনো বেতন, বোনাস বা উন্নয়ন বাজেট না পাওয়ায় পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব আয়ের ওপর নির্ভরশীল। ফলে কর প্রদানে নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পৌর প্রশাসক আরও জানান,

“বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে—একদিকে নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান সেবা চাহিদা, অন্যদিকে পৌরসভার সীমিত রাজস্ব। তারপরও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ন্যূনতম হলেও সব ধরনের সেবা দিতে। তাই সময়মতো পৌর কর পরিশোধ এখন অত্যন্ত জরুরি।”

প্রকৌশল বিভাগের চিত্র

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী বলেন, রাস্তাঘাট, ড্রেন, স্ট্রিট লাইট, পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো সংস্কারে নিয়মিত কাজ করার পরিকল্পনা থাকলেও বাজেট ঘাটতির কারণে অনেক প্রকল্প সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।

“নাগরিকরা নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করলে সেই অর্থ দিয়ে তাদের এলাকায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব। উন্নত পৌরসভা গড়তে সবার অংশগ্রহণ অপরিহার্য,” তিনি যোগ করেন।

অর্থ ও হিসাব বিভাগের মন্তব্য

হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, পৌরসভার বার্ষিক আয় সীমিত হলেও ব্যয় বহুগুণ বেশি। কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, পানি সরবরাহ ও মৌলিক সেবায় প্রায় সম্পূর্ণ বাজেট ব্যয় হয়।

“অনেক নাগরিক ৫–৭ বছর যাবৎ কোনো ট্যাক্স বা পানির বিল পরিশোধ করেননি, তবু সেবা চালু রয়েছে। বিলম্ব না করে সবাই যেন বকেয়া পরিশোধ করেন—এটাই আমাদের অনুরোধ,” তিনি বলেন।

পৌরসভার নতুন উদ্যোগ

পৌরসভা সূত্র জানায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায়ে নাগরিকদের সচেতন করা হবে। বিলম্বকারীদের চিহ্নিত করে নোটিশ প্রেরণের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

নাগরিক সমাজের মতামত

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, নাগরিক সুবিধা পেতে কর প্রদান শুধু বাধ্যবাধকতাই নয়, বরং নৈতিক দায়িত্ব। কর পরিশোধের মাধ্যমে শহরের উন্নয়ন দ্রুত হবে এবং পৌর কর্তৃপক্ষ আরও কার্যকরভাবে সেবা দিতে পারবে।

পৌর প্রশাসকের চূড়ান্ত আহ্বান:
“সেবা নিতে চাইলে পাশে থাকুন—এই আহ্বানেই লালমনিরহাট পৌরসভা এখন প্রত্যাশা করছে সচেতন, দায়িত্ববান ও করপরায়ণ নাগরিকদের সহযোগিতা।”

 

প্রতিবেদক : কল্লোল আহমেদ 

—  সালেহ তাবাসসুম/এস এম মেহেদী