জুড়ীতে শিক্ষার্থী হামলা মামলায় ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
মৌলভীবাজার | ০৭ আগস্ট ২০২৫ — মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুড়ী থানায় নিয়ে আসেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আজমল হোসেন। বিকেলে তাঁর গ্রেফতারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
গ্রেফতারের সময় তীব্র আপত্তি
গ্রেফতারের সময় মামলার বাদী মো. তারেক মিয়া এবং অন্যতম সাক্ষী আফজাল হোসেন থানায় উপস্থিত হয়ে জানান, চেয়ারম্যান শেলু এই ঘটনায় জড়িত নন। তাঁরা মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এএসপি আজমল হোসেন বলেন,
“তদন্তে চেয়ারম্যান শেলুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই আইন অনুযায়ী তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ আপত্তি জানাতে চাইলে তা আদালতের মাধ্যমে করতে হবে।”
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ও থানা ঘেরাও
চেয়ারম্যান শেলুর গ্রেফতারের খবরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন থানায় জড়ো হন। তাঁরা শেলুর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। এমনকি তাঁকে মৌলভীবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন বাসের সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান।
বাদী তারেক মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন:
“মূল হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে, অথচ নির্দোষ মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে।”
প্রেক্ষাপট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও হামলা মামলা
গত মাসে জুড়ী শহরে বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলেও, চেয়ারম্যান শেলুর নাম নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিভক্ত মত রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
গ্রেফতার ব্যক্তি: আব্দুল আলীম শেলু, চেয়ারম্যান, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ
-
ঘটনা: শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মামলা
-
স্থান: জুড়ী, মৌলভীবাজার
-
প্রতিক্রিয়া: বাদী ও সাক্ষীর আপত্তি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
-
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য: তদন্তে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে
— মোঃ সামছুল ইসলাম / মেহেদী / তাবাসসুম
মোঃ সামছুল ইসলাম 


























