ভালোবাসার টানে মালয়েশিয়ান তরুণীকে নিয়ে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
চুয়াডাঙ্গা | ০৩ আগস্ট ২০২৫ — প্রেম কখনো জাত-ধর্ম, দেশ-সীমান্ত মানে না। সেই কথারই যেন বাস্তব প্রমাণ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের যুবক রিংকু রহমান এবং মালয়েশিয়ান তরুণী স্মৃতিনূর আতিকার (৩০) প্রেম ও বিবাহ।
২০১৮ সালে কাজের সুবাদে মালয়েশিয়ায় যান রিংকু। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় পরিচয় হয় স্মৃতিনূরের সঙ্গে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রিংকু বলেন, “আমি ছয় মাসের ছুটিতে দেশে এসেছি। আগে থেকেই প্ল্যান ছিল, আমরা দুজন একসঙ্গে বাংলাদেশে আসব। সেজন্য ও আমার সঙ্গে এসেছে।”
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে নববধূ আতিকাকে বরণ করে নেন। সেখান থেকে তিনি আসেন শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে।
রিংকুর বাবা জিনারুল মল্লিক বলেন, “ছেলের পছন্দকে আমরা সম্মান জানিয়েছি। আমাদের বউমা এখন ঘরের মেয়ে হয়ে গেছে। রান্নাঘর থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই সে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। পরিবারের সবার সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে মিশে যাচ্ছে।”
বিদেশি নববধূর আগমনে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। স্থানীয়রা সকাল থেকেই ভিড় করছেন রিংকুর বাড়িতে। অনেকেই একনজর দেখতে চাইছেন সেই তরুণীকে, যিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে এসেছেন প্রেমের টানে।
এই ঘটনা শুধু ভালোবাসার উদাহরণ নয়, এটি দুই ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সম্মিলনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রেমের শক্তি যে জাত, ধর্ম কিংবা দেশ দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন রিংকু-আতিকা দম্পতি।
— মাহমুদুল হাসান/ সালেহ/ তাবাসসুম
মাহমুদুল হাসান 



























