ছাত্র প্রতিনিধিদের ‘তদারকি বানিজ্য’: বদলি, নিয়োগ ও প্রমোশনে জড়িত থাকার অভিযোগ
ঢাকা | ২৭ জুলাই ২০২৫ — সরকারি দপ্তরগুলোর ‘তদারকি’র নামে ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বদলি, নিয়োগ ও প্রমোশনের মতো স্পর্শকাতর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। রোববার (২৭ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রাশেদ খাঁনের এই মন্তব্য আসে ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন নেতাকে পুলিশের হাতে আটকের ঘটনার পর।
তিনি তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন,
“একজন ডিসির সাথে কথা হচ্ছিলো। তিনি আমাকে বললেন, জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কাজ করানোর জন্য উপরের মহল থেকে নির্দেশনা এসেছে। ফলে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় ও সরকারি অফিসে নির্ধারিত ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছে।”
রাশেদ খাঁনের দাবি, এই তথাকথিত ছাত্র প্রতিনিধিরা শুধু তদারকি নয়, বদলি বাণিজ্য, প্রমোশন, নিয়োগের মত কাজেও জড়িত।
তিনি আরও বলেন,
“একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপের সময় তিনি বলেন, ‘সমন্বয়কেরা আমাকে এখানে এনেছে। আমাকে সরাতে পারবে না। অভিযোগ দিয়েও কিছু হবে না।’”
এই চক্রের আর্থিক লেনদেন নিয়েও বিস্ফোরক তথ্য দেন রাশেদ। তার ভাষ্য,
“একজন ছাত্রনেতা আমাকে বলেন, ‘ভাই, অমুক নেতা কোটি টাকার উপরে কামিয়েছে।’ আমি বিস্মিত হয়ে বলি—কি বলো! সে জানায়, গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রতিটি সমন্বয়কের প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ক্ষমতা ছিল।”
তিনি অভিযোগ করেন, সহ-সমন্বয়কের পরিচয়ে নিজেও বিভিন্ন জায়গায় গেলে অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা পেয়েছেন, যা স্বাভাবিক নয়।
এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তবে এটি ছাত্র রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের ওপর অস্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিপজ্জনক প্রবণতা নির্দেশ করে।
— এস এম মেহেদী হাসান/ তাবাসসুম/ সালেহ
Reporter Name 
























