গোপালগঞ্জে সহিংসতার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ
নিউইয়র্ক | ২৪ জুলাই ২০২৫ —
গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-এর সমাবেশকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধপন্থী সংগঠনগুলো।
বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ২০টির বেশি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। আয়োজক সংগঠনগুলোর দাবি, ১৬ জুলাইয়ের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি “কালো অধ্যায়” হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বক্তাদের অভিযোগ ও স্লোগান
বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জে নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলা চালানো হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং এনসিপি কর্মীদের সহায়তায়। এসময় অবৈধ ইউনূস সরকার এবং তার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোল্লা মোহাম্মদ ইউনূস, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান, বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপিকে দায়ী করে স্লোগান দেওয়া হয়।
স্লোগানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
-
“ওয়াকার ওয়াকার, সামলা তোর রাজাকার”
-
“গোপালগঞ্জে লাশ কেন, খুনি ইউনূস জবাব দে”
-
“একটা গুলি চললে, লক্ষ্য গুলি চলবে”
হরতালের ঘোষণা
সমাবেশে আগামী রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। আয়োজকরা দেশবাসীকে হরতাল সফল করার আহ্বান জানান।
উপস্থিত ব্যক্তিত্ব
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা প্রদীপ রঞ্জন কর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নূরান নবী, সংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আইনজীবী এডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার, এবং মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ, মুজিবুর রহমান মিয়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা বলেন
“১৬ জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ইউনূস সরকার রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এর জবাব দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে হবে।”
প্রতিবেদক : হাকিকুল ইসলাম খোকন
— আসমা/ সুমন/ দেলোয়ার
Reporter Name 























