1:02 pm, Sunday, 23 November 2025

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা জরুরি

শিখা প্রকল্পের উপজেলা পর্যায় কর্মপরিকল্পনায় পুঠিয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অংশগ্রহণ

পুঠিয়া, রাজশাহী | ২১ জুলাই ২০২৫ — শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি), বুলিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্কুলভিত্তিক সচেতনতা জরুরি—এমন বার্তা নিয়ে পুঠিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো শিখা প্রকল্পের উপজেলা পর্যায় কর্মপরিকল্পনা সভা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখা’ প্রকল্পের আওতায় সোমবার (২১ জুলাই) এই আয়োজন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সকাল ১০টায় পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ নাদের আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রহুল আমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা আখতার জাহান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিখা প্রকল্পের জেলা টেকনিক্যাল ম্যানেজার মিতা সরকার, প্রজেক্ট অফিসার সাবির হোসেন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রতিনিধি।

‘শিখা’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কী?

নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করা, স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন করা।
এই প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

কি আলোচনা হলো সভায়?

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা আখতার জাহান বলেন,

“নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জিবিভি সচেতনতা কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিখা প্রকল্প আমাদের সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।”

সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানি, বুলিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কীভাবে শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেন এবং একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

পরিধি ও পরিকল্পনা

পুঠিয়া উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়সহ রাজশাহী জেলায় মোট ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির পদ্ধতি সহজ করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

কেন জরুরি এই উদ্যোগ?

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি বড় সামাজিক সমস্যা। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এই সহিংসতার শিকার হয়, যার প্রভাব পড়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য, পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের ওপর।
‘শিখা’ প্রকল্প স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয়ে এই সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।

রিপোর্ট সংক্ষেপে:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের অংশগ্রহণে পুঠিয়ায় শিখা প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।

 

প্রতিবেদক : মোহাম্মদ আলী

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মেহেদী

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা জরুরি

Update Time : 01:45:04 pm, Monday, 21 July 2025

শিখা প্রকল্পের উপজেলা পর্যায় কর্মপরিকল্পনায় পুঠিয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অংশগ্রহণ

পুঠিয়া, রাজশাহী | ২১ জুলাই ২০২৫ — শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি), বুলিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্কুলভিত্তিক সচেতনতা জরুরি—এমন বার্তা নিয়ে পুঠিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো শিখা প্রকল্পের উপজেলা পর্যায় কর্মপরিকল্পনা সভা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখা’ প্রকল্পের আওতায় সোমবার (২১ জুলাই) এই আয়োজন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

সকাল ১০টায় পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ নাদের আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রহুল আমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা আখতার জাহান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিখা প্রকল্পের জেলা টেকনিক্যাল ম্যানেজার মিতা সরকার, প্রজেক্ট অফিসার সাবির হোসেন, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রতিনিধি।

‘শিখা’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কী?

নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করা, স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন করা।
এই প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

কি আলোচনা হলো সভায়?

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা আখতার জাহান বলেন,

“নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জিবিভি সচেতনতা কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিখা প্রকল্প আমাদের সেই সুযোগ করে দিচ্ছে।”

সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানি, বুলিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কীভাবে শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করেন এবং একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

পরিধি ও পরিকল্পনা

পুঠিয়া উপজেলায় ৯টি বিদ্যালয়সহ রাজশাহী জেলায় মোট ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির পদ্ধতি সহজ করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

কেন জরুরি এই উদ্যোগ?

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি বড় সামাজিক সমস্যা। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এই সহিংসতার শিকার হয়, যার প্রভাব পড়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য, পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের ওপর।
‘শিখা’ প্রকল্প স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয়ে এই সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।

রিপোর্ট সংক্ষেপে:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের অংশগ্রহণে পুঠিয়ায় শিখা প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।

 

প্রতিবেদক : মোহাম্মদ আলী

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মেহেদী