1:55 pm, Sunday, 23 November 2025

সহকর্মীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষিকার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:45:29 pm, Sunday, 13 July 2025
  • 29 Time View

ঢাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার অভিযোগঢাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার অভিযোগ

ঢাকা | ১৩ জুলাই ২০২৫ —

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকর্মী শিক্ষকের মধ্যে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। সহকর্মী পুরুষ শিক্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা পুলিশ হেফাজতে কীটনাশক পান করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কী ঘটেছিল সেই রাতে

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম পুরুষ শিক্ষকের মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার বাসায় যান ওই শিক্ষিকা। রাতে তারা একসাথে থাকেন। ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহকর্মীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ওই শিক্ষিকা।

পুলিশ জানায়, আহত শিক্ষক বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি মিরপুর এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার স্ত্রী বিদেশে (জার্মানি) প্রবাসী। সম্প্রতি স্ত্রী দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষকের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

৯৯৯-এ কল, পুলিশের তৎপরতা

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ভাটারা থানা পুলিশ ভিকটিমের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে শিক্ষিকাকে আটক করে। আটক হওয়ার আগে ওই শিক্ষিকা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন করে তাকে বাঁচানোর আবেদন করেছিলেন।

ভাটারা থানা থেকে জানানো হয়, থানায় হেফাজতে থাকার সময় শিক্ষিকা কীটনাশক পান করেন। ওসি দাবি করেন, শিক্ষিকা তার লোকজনের মাধ্যমে ওষুধ আনার নাম করে কীটনাশক আনিয়ে খেয়ে অচেতন হন। পরে তাকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

এ ঘটনায় পল্লবী থানায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি।’’ তবে নিহত শিক্ষিকার স্বজনরা দাবি করছেন, সহকর্মী দুইজন বিয়ে করেছিলেন তিন-চার মাস আগে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। তবে তাদের মধ্যে আইনি বৈধ বিয়ে হয়েছিল কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আলোচনার কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতের মৃত্যু

একজন গ্রেপ্তার নারীর পুলিশ হেফাজতে কীটনাশক পান করার ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিরাপত্তা নিয়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আটক অবস্থায় কীভাবে কীটনাশক এলো, তা তদন্ত হওয়া উচিত।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে গোপনাঙ্গ হারানো শিক্ষক হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

ইসলামি স্কলার: অনৈতিক সম্পর্ক ও সহিংসতা সমাজে অস্থিরতা ডেকে আনে

এ বিষয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাইতুর রহমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, “ইসলাম ধর্মে অবৈধ সম্পর্ক, প্রতারণা ও শারীরিক আঘাত — সবই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সহিংসতার মাধ্যমে তার সমাধান কখনো হতে পারে না। পারস্পরিক আস্থা ও আইনি-পারিবারিক পদ্ধতিতে সমাধান খুঁজতে হবে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে, যা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

মানবাধিকার কর্মী: নারী অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পেতে হবে

এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবাধিকার ফোরাম’-এর নির্বাহী পরিচালক শামীমা রহমান বলেন, “এই ঘটনায় আমরা দেখছি একদিকে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলা, আবার পুলিশের হেফাজতে সেই নারীর মৃত্যু — যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তোলে। আমরা দাবি করছি, পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হোক, যেন পুলিশ হেফাজতে কোনো মানুষের জীবন নিরাপদ থাকে। এছাড়া, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সহমর্মিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. পলাশ রায়): মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা বিপর্যয় ডেকে আনে

ডা. পলাশ রায়, সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বলেন, “এটি মানসিক চাপ, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার একটি করুণ চিত্র। আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার অভাব রয়েছে। এ ধরনের সম্পর্ক জটিলতা ও প্রতারণা বা অবহেলার শিকার হলে অনেকেই চরম সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক সময়ে কাউন্সেলিং, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সমর্থন, আইনি ও সামাজিক সহায়তা পেলে এমন সহিংস পরিণতি এড়ানো সম্ভব।”

আইন বিশেষজ্ঞ: পুলিশের দায়িত্বশীলতা প্রশ্নের মুখে

এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহমুদ হাসান বলেন, “পুলিশ হেফাজতে একজন আটক ব্যক্তির মৃত্যু গুরুতর দায়িত্বহীনতার বিষয়। হেফাজতে থাকাকালে কীভাবে কীটনাশক এল, তা প্রশাসনকেই ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক, তারও ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। পুলিশের উচিত হেফাজতে থাকা ব্যক্তির নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।”

রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com

প্রতিবেদক : এস এম মেহেদী হাসান

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

সহকর্মীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষিকার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

Update Time : 02:45:29 pm, Sunday, 13 July 2025

ঢাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার অভিযোগঢাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার অভিযোগ

ঢাকা | ১৩ জুলাই ২০২৫ —

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকর্মী শিক্ষকের মধ্যে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। সহকর্মী পুরুষ শিক্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা পুলিশ হেফাজতে কীটনাশক পান করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কী ঘটেছিল সেই রাতে

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম পুরুষ শিক্ষকের মিরপুর ১২ নম্বর এলাকার বাসায় যান ওই শিক্ষিকা। রাতে তারা একসাথে থাকেন। ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহকর্মীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ওই শিক্ষিকা।

পুলিশ জানায়, আহত শিক্ষক বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি মিরপুর এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার স্ত্রী বিদেশে (জার্মানি) প্রবাসী। সম্প্রতি স্ত্রী দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষকের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

৯৯৯-এ কল, পুলিশের তৎপরতা

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ভাটারা থানা পুলিশ ভিকটিমের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে শিক্ষিকাকে আটক করে। আটক হওয়ার আগে ওই শিক্ষিকা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন করে তাকে বাঁচানোর আবেদন করেছিলেন।

ভাটারা থানা থেকে জানানো হয়, থানায় হেফাজতে থাকার সময় শিক্ষিকা কীটনাশক পান করেন। ওসি দাবি করেন, শিক্ষিকা তার লোকজনের মাধ্যমে ওষুধ আনার নাম করে কীটনাশক আনিয়ে খেয়ে অচেতন হন। পরে তাকে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি

এ ঘটনায় পল্লবী থানায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি।’’ তবে নিহত শিক্ষিকার স্বজনরা দাবি করছেন, সহকর্মী দুইজন বিয়ে করেছিলেন তিন-চার মাস আগে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। তবে তাদের মধ্যে আইনি বৈধ বিয়ে হয়েছিল কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আলোচনার কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতের মৃত্যু

একজন গ্রেপ্তার নারীর পুলিশ হেফাজতে কীটনাশক পান করার ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিরাপত্তা নিয়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আটক অবস্থায় কীভাবে কীটনাশক এলো, তা তদন্ত হওয়া উচিত।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে গোপনাঙ্গ হারানো শিক্ষক হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

ইসলামি স্কলার: অনৈতিক সম্পর্ক ও সহিংসতা সমাজে অস্থিরতা ডেকে আনে

এ বিষয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাইতুর রহমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, “ইসলাম ধর্মে অবৈধ সম্পর্ক, প্রতারণা ও শারীরিক আঘাত — সবই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সহিংসতার মাধ্যমে তার সমাধান কখনো হতে পারে না। পারস্পরিক আস্থা ও আইনি-পারিবারিক পদ্ধতিতে সমাধান খুঁজতে হবে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে, যা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

মানবাধিকার কর্মী: নারী অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পেতে হবে

এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবাধিকার ফোরাম’-এর নির্বাহী পরিচালক শামীমা রহমান বলেন, “এই ঘটনায় আমরা দেখছি একদিকে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলা, আবার পুলিশের হেফাজতে সেই নারীর মৃত্যু — যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তোলে। আমরা দাবি করছি, পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হোক, যেন পুলিশ হেফাজতে কোনো মানুষের জীবন নিরাপদ থাকে। এছাড়া, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সহমর্মিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ (এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. পলাশ রায়): মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা বিপর্যয় ডেকে আনে

ডা. পলাশ রায়, সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বলেন, “এটি মানসিক চাপ, সম্পর্কের জটিলতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার একটি করুণ চিত্র। আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার অভাব রয়েছে। এ ধরনের সম্পর্ক জটিলতা ও প্রতারণা বা অবহেলার শিকার হলে অনেকেই চরম সিদ্ধান্ত নেন। সঠিক সময়ে কাউন্সেলিং, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সমর্থন, আইনি ও সামাজিক সহায়তা পেলে এমন সহিংস পরিণতি এড়ানো সম্ভব।”

আইন বিশেষজ্ঞ: পুলিশের দায়িত্বশীলতা প্রশ্নের মুখে

এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহমুদ হাসান বলেন, “পুলিশ হেফাজতে একজন আটক ব্যক্তির মৃত্যু গুরুতর দায়িত্বহীনতার বিষয়। হেফাজতে থাকাকালে কীভাবে কীটনাশক এল, তা প্রশাসনকেই ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক, তারও ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। পুলিশের উচিত হেফাজতে থাকা ব্যক্তির নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।”

রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com

প্রতিবেদক : এস এম মেহেদী হাসান

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল