সাভার, ঢাকা | ১২ জুলাই ২০২৫ —
জুলাই আন্দোলনের সময় সাভারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এমআইএসটি’র চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের (এপিসি) কাছে নিয়ে গিয়ে বুকের বাঁ পাশে গুলি করে মাহাফুজ নামে এক কনস্টেবল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ইয়ামিনকে গুলি করার পর পুলিশ সদস্যরা তাকে এপিসির ওপর ছুঁড়ে ফেলে রাখে এবং সাঁজোয়া যানটি আন্দোলনকারীদের আতঙ্কিত করতে এদিক-ওদিক চালানো হয়। মুমূর্ষু ইয়ামিনকে পরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়নি।
ঘটনার ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে মাহাফুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি:
মৌলভীবাজার শহরস্থ মিশকাতুল কুরআন মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা সাদ আহমদ আমিন বর্ণভী বলেন, “অপরাধী যেই হোক, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা ইসলামে মহাপাপ। আল্লাহ বলেন, ❝যে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানবজাতিকে হত্যা করল❞ (সূরা মায়িদা, ৫:৩২)। খুনের বিচার না হলে সমাজে অনাচার ছড়িয়ে পড়ে।”
আইন বিশেষজ্ঞের মত:
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তবারক হোসেন বলেন, “আইনে স্পষ্ট—পুলিশ সদস্য হলেও বেআইনিভাবে গুলি চালালে সেটা হত্যাকাণ্ড হিসেবে গণ্য হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা।”
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের বক্তব্য:
মানবাধিকার গবেষক ড. আরিফা জাহান বলেন, “বারবার এ ধরনের ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং’-এর অভিযোগ উঠছে। এর পিছনে জবাবদিহিতার অভাবই বড় কারণ। ইয়ামিনের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার না হলে সাধারণ মানুষের পুলিশের ওপর আস্থা নষ্ট হবে।”
উপসংহার:
এমআইএসটির মেধাবী ইয়ামিনের স্বপ্ন আর ফিরে আসবে না। কিন্তু তার হত্যার সুবিচার হলে হয়তো ভবিষ্যতের ইয়ামিনরা সুরক্ষিত থাকবে—এমন আশা রাখছেন স্বজন-সহপাঠী-সাধারণ মানুষ।
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
প্রতিবেদক : নাজমুল হক ইমু
সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল
Reporter Name 




























