1:00 pm, Sunday, 23 November 2025

সুরা ফালাক অর্থ ও ফজিলতঃ অশুভ থেকে পরিত্রাণে সুরা

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:06:22 am, Saturday, 12 July 2025
  • 33 Time View

🌙 সুরা ফালাক (سورة الفلق)

আরবি

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

বাংলা উচ্চারণ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুল আ’উযু বিরাব্বিল ফালাক।
মিং শাররি মা খালাক।
ওয়া মিং শাররি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব।
ওয়া মিং শাররিন নাফফাসাতি ফিল উকাদ।
ওয়া মিং শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।

অর্থ

সুরা ফালাক পবিত্র কোরআনের ১১৩তম সুরা। এর ১–৫ আয়াতে বলা হয়েছে:

“বলো, আমি আশ্রয় চাই উষার (ফজরের) প্রভুর।
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অমঙ্গল থেকে;
রাত্রির অমঙ্গল থেকে, যখন তা গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যায়;
যেসব নারীরা গাঁটে ফুঁ দেয়, তাদের অমঙ্গল থেকে;
আর হিংসুকের অমঙ্গল থেকে, যখন সে হিংসা করে।”

ফজিলত

  • সুরা ফালাকসুরা নাস—এই দুইটি সুরাকে মু’আওয়াজাতাইন বলা হয়।
  • এগুলো সব প্রকার অশুভ, শত্রুতা, জাদু, হিংসা ও গোপন অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মহানবী (সা.) সুন্নাহ হিসেবে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
  • রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর জাদু করা হয়েছিল, রশিতে ১১টি গেরো বেঁধে। তিনি এই সুরা দু’টির আয়াত পড়ে সেই গেরো খুলেছেন।
  • বিভিন্ন বিপদ-আপদে ও অসুস্থতায় এ সুরা পড়তে বলা হয়েছে।

সারকথা

  • এই সুরার মূল বার্তা— সব অশুভ থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া
  • প্রথম আয়াতে আশ্রয়দাতার পরিচয়— উষার প্রভু
  • পরের আয়াতগুলোতে চারটি বিশেষ অশুভ উৎসের উল্লেখ:
    1️⃣ সৃষ্টির অমঙ্গল
    2️⃣ রাত্রির অমঙ্গল
    3️⃣ গাঁটে ফুঁ দেয়া (কালো জাদু)
    4️⃣ হিংসুকের হিংসা

আমল

  • হজরত উকবা বিন আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে সুরা ফালাক ও নাস পড়তে বলেছেন
  • আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি সুরা শেখাবো, যেগুলোর মতো তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল, এমনকি কোরআনেও আর নাজিল হয়নি? সেগুলো প্রতি রাতে অবশ্যই পড়বে।’ সেই সুরাগুলো হলো ইখলাস, ফালাক, নাস

📚 আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সুরাগুলোর ফজিলত অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দিন। আমিন! 🌙✨

রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com

প্রতিবেদক : মাহমুদুল হাসান

সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

সুরা ফালাক অর্থ ও ফজিলতঃ অশুভ থেকে পরিত্রাণে সুরা

Update Time : 08:06:22 am, Saturday, 12 July 2025

🌙 সুরা ফালাক (سورة الفلق)

আরবি

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

বাংলা উচ্চারণ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুল আ’উযু বিরাব্বিল ফালাক।
মিং শাররি মা খালাক।
ওয়া মিং শাররি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব।
ওয়া মিং শাররিন নাফফাসাতি ফিল উকাদ।
ওয়া মিং শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।

অর্থ

সুরা ফালাক পবিত্র কোরআনের ১১৩তম সুরা। এর ১–৫ আয়াতে বলা হয়েছে:

“বলো, আমি আশ্রয় চাই উষার (ফজরের) প্রভুর।
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অমঙ্গল থেকে;
রাত্রির অমঙ্গল থেকে, যখন তা গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যায়;
যেসব নারীরা গাঁটে ফুঁ দেয়, তাদের অমঙ্গল থেকে;
আর হিংসুকের অমঙ্গল থেকে, যখন সে হিংসা করে।”

ফজিলত

  • সুরা ফালাকসুরা নাস—এই দুইটি সুরাকে মু’আওয়াজাতাইন বলা হয়।
  • এগুলো সব প্রকার অশুভ, শত্রুতা, জাদু, হিংসা ও গোপন অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মহানবী (সা.) সুন্নাহ হিসেবে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
  • রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর জাদু করা হয়েছিল, রশিতে ১১টি গেরো বেঁধে। তিনি এই সুরা দু’টির আয়াত পড়ে সেই গেরো খুলেছেন।
  • বিভিন্ন বিপদ-আপদে ও অসুস্থতায় এ সুরা পড়তে বলা হয়েছে।

সারকথা

  • এই সুরার মূল বার্তা— সব অশুভ থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া
  • প্রথম আয়াতে আশ্রয়দাতার পরিচয়— উষার প্রভু
  • পরের আয়াতগুলোতে চারটি বিশেষ অশুভ উৎসের উল্লেখ:
    1️⃣ সৃষ্টির অমঙ্গল
    2️⃣ রাত্রির অমঙ্গল
    3️⃣ গাঁটে ফুঁ দেয়া (কালো জাদু)
    4️⃣ হিংসুকের হিংসা

আমল

  • হজরত উকবা বিন আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে সুরা ফালাক ও নাস পড়তে বলেছেন
  • আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি সুরা শেখাবো, যেগুলোর মতো তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল, এমনকি কোরআনেও আর নাজিল হয়নি? সেগুলো প্রতি রাতে অবশ্যই পড়বে।’ সেই সুরাগুলো হলো ইখলাস, ফালাক, নাস

📚 আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সুরাগুলোর ফজিলত অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দিন। আমিন! 🌙✨

রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com

প্রতিবেদক : মাহমুদুল হাসান

সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল