কুমিল্লা | ১১ জুলাই ২০২৫ —
কোটাবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে ১১ জুলাই হয়ে আছে গৌরবময় প্রতিরোধের প্রতীক। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ‘১১ জুলাই’ কে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
গত শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ ১১ জুলাই” শীর্ষক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “সেই দিনে শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছিল স্বৈরাচার সরকার, আর এর প্রথম রুখে দাঁড়ানো শুরু হয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।”
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী শিক্ষার্থীরা সারা দেশের ছাত্রসমাজকে জাগিয়ে তুলেছিল। তাদের বীরত্বই আজকের এই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণা।” তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেই ঐতিহাসিক স্থানে ‘প্রতিরোধ মিনার’ স্থাপনের ঘোষণা দেন, যাতে সবাই ১১ জুলাইকে স্মরণ রাখতে পারে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যার কথা বিবেচনায় তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনটি বাস উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন। তারা ১১ জুলাই দিনটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘জুলাই মিনার’ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। এরপর জাতীয় সংগীত ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কোটাবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদেরও এই সভায় সম্মাননা দেওয়া হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তাদের দৃঢ় অবস্থান, এই আন্দোলনকে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হিসেবে তুলে ধরতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
ছাত্রনেতার মন্তব্য
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবু রায়হান বলেন,
“১১ জুলাই আমাদের কাছে শুধু একটি তারিখ নয়, এটি ছাত্রসমাজের গণঅধিকারের লড়াইয়ের প্রতীক। আমাদের দাবি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস পায়।”
সমাজবিজ্ঞানীর বিশ্লেষণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদা পারভীন বলেন,
“কোটাবিরোধী আন্দোলন প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হলে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে গণচাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই ইতিহাস ধরে রাখতে হবে। শুধু মিনার নয়, গবেষণা, আলোচনা ও শিক্ষা কার্যক্রমে এই আন্দোলনের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
প্রতিবেদক : শাকিল মোল্লা
সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল
Reporter Name 



























