লন্ডন | ১১ জুলাই ২০২৫ —
১১ বছরের জয়নাব চৌধুরী শুধু আরেকজন স্কুলছাত্রী নয়। সে হচ্ছে কমলগঞ্জের শিকড় ছুঁয়ে লন্ডনের বুকে বেড়ে ওঠা সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি লেখিকা। তাঁর প্রথম বই My Primary Journey Thru Cayley এখন কেইলি প্রাইমারি স্কুলের দেয়াল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে লন্ডনের স্কুল-লাইব্রেরিতে, ছুঁয়ে যাচ্ছে অভিভাবক আর শিক্ষার্থীদের মন।
বই প্রকাশের অনন্য মুহূর্ত
টাওয়ার হ্যামলেটসের কেইলি প্রাইমারি স্কুলে বার্ষিক সামার ফেয়ারের মঞ্চে ছোট্ট জয়নাব দাঁড়িয়েছিল নিজের লেখা বই হাতে। অতিথিরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বই পড়ে শোনানো, স্বাক্ষর বিতরণ, ছবি তোলা আর বইয়ের প্রচ্ছদ রঙের কেক—সব মিলিয়ে পুরো অনুষ্ঠান ছিল ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণার মিলনমেলা।
নিঃস্বার্থতা ও দায়বদ্ধতা
সবচেয়ে বড় বিষয়—এই বই থেকে আয়ের পুরো টাকা কেইলি স্কুলের শিক্ষামূলক প্রকল্পে ব্যয় হবে। ১১ বছরের জয়নাব দেখিয়ে দিয়েছে, লেখার শক্তি শুধু নিজের গৌরব নয়—এটি হতে পারে সমাজের জন্য কিছু ফেরত দেওয়ার হাতিয়ার।
শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি
এই অনন্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতিতে তাকে দেয়া হয়েছে Young Author Achievement Award। প্রধান শিক্ষক টম ফস্টার, ডেপুটি মেয়র মায়ুম তালুকদারসহ স্থানীয় কাউন্সিলর, স্কুল গভর্নররা সবাই বলেছেন—জয়নাব হচ্ছে আজকের নতুন প্রজন্মের শক্তি, যে তার গল্প দিয়ে আরও শত গল্পকে বাঁচিয়ে তুলবে।
বইয়ের গল্পের শক্তি
“My Primary Journey Thru Cayley” শুধু জয়নাবের স্কুলজীবনের দিনপঞ্জি নয়। এখানে আছে হোমওয়ার্ক নিয়ে তার যুদ্ধ, কোভিডের দিনগুলোতে থেমে না যাওয়া অধ্যবসায়, শিক্ষকের অনুপ্রেরণার গল্প, আর পুরস্কারের ছোট কার্ড থেকে জন্ম নেওয়া বড় স্বপ্ন।
পরিবার ও কমিউনিটির গর্ব
জয়নাবের বাবা হাসান চৌধুরী, যিনি দ্য কেয়ারার সেন্টারের সভাপতি, মেয়ের জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন—একটি পরিবার আর শিক্ষকের মিলিত ভালোবাসাই পারে একটি শিশুর স্বপ্নকে আকাশ ছুঁইয়ে দিতে। কমলগঞ্জের ছলিমবাড়ি থেকে লন্ডন—এ এক সত্যিকারের সাফল্যের গল্প।
বার্তা
জয়নাব প্রমাণ করেছে—কলম হাতে নিলে বয়স কোনো বাধা নয়। প্রতিটি শিশু যদি এমনভাবে গল্প বলে, তবে হয়তো একদিন প্রতিটি স্কুল হবে নতুন নতুন স্বপ্নবীজের বাগান।
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
প্রতিবেদক : সালেহ আহমদ (স’লিপক)
সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল
Reporter Name 




























