আন্তর্জাতিক ডেস্ক । ৩০ জুন ২০২৫ —
ইরানের পার্লামেন্ট স্টারলিংকসহ অনুমোদনহীন বৈদ্যুতিক যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি নতুন আইন পাস করেছে। আইনটি অনুযায়ী, এসব প্রযুক্তি ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং অপরাধের মাত্রাভেদে দণ্ড হিসেবে কারাবাস থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত আরোপ করা যাবে।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনার বরাতে জানা গেছে, গত ২৩ জুন পার্লামেন্টে আইনটি অনুমোদন পায় এবং ২৯ জুন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাত ও আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উদ্বেগ এই আইনের পেছনে মূল প্রেক্ষাপট। ইরান সরকার আশঙ্কা করছে, মনিটরবিহীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা, তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে—যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
যুদ্ধকালীন ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের সময়, হাজার হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল গোপনে ইরানে পাচার করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল—সরকারি নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে বিকল্প উপায়ে জনগণের ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা।
নতুন আইনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে: ‘গোয়েন্দাগিরি, ইসরায়েল ও শত্রু রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি বৃদ্ধি আইন’।
এই আইনে বলা হয়েছে, শত্রু রাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক বা গোয়েন্দা সহযোগিতা ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ সমতুল্য অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এখনও ইরানে ২০ থেকে ৪০ হাজার স্টারলিংক ডিভাইস সক্রিয় রয়েছে। অধিকাংশ ডিভাইস কালোবাজারের মাধ্যমে প্রবেশ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
সম্পাদনায় : এস এম মেহেদী হাসান
Reporter Name 



























