1:00 pm, Sunday, 23 November 2025

ছাতকে অর্ধকোটি টাকার ধান ঘুষ বাণিজ্য! নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:25:48 pm, Monday, 23 June 2025
  • 23 Time View

ছাতক, সুনামগঞ্জ। ২৩ জুন ২০২৫ –

সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে ঘুষ বাণিজ্যের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে নারী এলএসডি কর্মকর্তা সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহলের দাবি—প্রতি টন ধানে ৪ হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় করে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কাছ থেকে নিম্নমানের ধান সংগ্রহ করছেন তিনি। এতে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পুরনো সরকারি বস্তা ব্যবহার, ভূয়া কৃষক ভাড়া করে সরকারি স্লিপে ধান সরবরাহ, নির্ধারিত কৃষি কার্ড উপেক্ষা করে দলের প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে ধান কেনার মতো নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে খাদ্যগুদাম। ইতোমধ্যে ৭০০ মেট্রিক টন সংগ্রহ হওয়ায় ২৮ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা। পুরো সংগ্রহ শেষে অঙ্কটি অর্ধকোটি টাকা ছাড়াতে পারে।

এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছে। দুই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মাসিক ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন নারী কর্মকর্তা নিজেই।

তবে এলএসডি কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “কৃষি কার্ড যাচাই করেই প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।”

উপজেলা প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে সর্বত্র।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

ছাতকে অর্ধকোটি টাকার ধান ঘুষ বাণিজ্য! নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

Update Time : 10:25:48 pm, Monday, 23 June 2025

ছাতক, সুনামগঞ্জ। ২৩ জুন ২০২৫ –

সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে ঘুষ বাণিজ্যের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে নারী এলএসডি কর্মকর্তা সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহলের দাবি—প্রতি টন ধানে ৪ হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় করে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কাছ থেকে নিম্নমানের ধান সংগ্রহ করছেন তিনি। এতে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পুরনো সরকারি বস্তা ব্যবহার, ভূয়া কৃষক ভাড়া করে সরকারি স্লিপে ধান সরবরাহ, নির্ধারিত কৃষি কার্ড উপেক্ষা করে দলের প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে ধান কেনার মতো নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে খাদ্যগুদাম। ইতোমধ্যে ৭০০ মেট্রিক টন সংগ্রহ হওয়ায় ২৮ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা। পুরো সংগ্রহ শেষে অঙ্কটি অর্ধকোটি টাকা ছাড়াতে পারে।

এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছে। দুই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মাসিক ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন নারী কর্মকর্তা নিজেই।

তবে এলএসডি কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “কৃষি কার্ড যাচাই করেই প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।”

উপজেলা প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে সর্বত্র।