জুড়ী, মৌলভীবাজার। ২৩ জুন ২০২৫-
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের দেখা মিললেও সম্প্রতি বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে একসময় সুস্বাদু ও জনপ্রিয় রানী মাছ। হাওরপাড়ের স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, আগের মতো এখন আর হাওর ও আশপাশের জলাশয়ে রানী মাছ পাওয়া যায় না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওরসহ আশপাশের বিল-জলাশয়ে নানা জাতের দেশীয় মাছের সাথে রানী মাছও প্রচুর ধরা পড়ত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ মাছের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। চলতি বছর এই মাছ হাতে গোনা কয়েকবারই জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বলে জানান তারা।
সোমবার (২২ জুন) সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ভবিষ্যতে এই মাছ একেবারেই হারিয়ে যেতে পারে। কারণ, এই প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার কিংবা সংরক্ষণের জন্য মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ের দেশীয় রানী মাছ বিলুপ্তির পথে রয়েছে।
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান বলেন, “হাকালুকি হাওরসহ আশপাশের জলাশয় থেকে ইতোমধ্যে ২৩ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে রয়েছে। রানী মাছ তার অন্যতম। এই মাছের সংরক্ষণ ও বংশ বিস্তারের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই মাছের নামও জানে না।”
তিনি আরও বলেন, “সুস্বাদু হওয়ায় এক সময় এই রানী মাছ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল। দাম বেশি হলেও অনেকেই কিনতে আগ্রহী থাকতেন।”
স্থানীয় জেলেরা রানী মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে রানী মাছ হয়তো সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যাবে।
প্রতিবেদক : মোঃ সামছুল ইসলাম
সম্পাদনায় : তাবাসসুম/ আসমা/ মেহেদী
Reporter Name 



























