দুমকি (পটুয়াখালী), ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে তীব্র জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও মাঠ পর্যায়ের সেবা কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একজন ভেটেরিনারি সার্জনের ওপর পুরো দপ্তরের দায়িত্ব চাপায় বিপাকে পড়েছেন খামারি ও পশুপালনকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, গরু–ছাগলসহ গবাদিপশুতে হঠাৎ রোগ দেখা দিলেও দ্রুত চিকিৎসা মিলছে না। ফলে ছোট খামারগুলোতে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
স্টাফ সংকট চরমে
দপ্তর সূত্রে জানা গেছে—
উপজেলায় যেসব পদ থাকার কথা:
- উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা – ১
- ভেটেরিনারি সার্জন – ২
- ফার্মাসিস্ট – ১
- মাঠ কর্মী – ২
- সহায়ক কর্মী – ১
এর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত:
➡️ মাত্র একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী
ফলে জরুরি রোগ–নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, টিকাদান কর্মসূচি, খামার পরিদর্শন—বেশিরভাগই অনিয়মিত হয়ে পড়ছে।
খামারিদের ক্ষোভ
গরু খামারি আলমাছ হাওলাদার বলেন,
“গরু অসুস্থ হলে ডাক্তার পাওয়া যায় না। কখনো ফোন ধরেন, কখনো ধরেন না। একজন ডাক্তার দিয়ে কি পুরো উপজেলা চলে?”
পোল্ট্রি খামারি ইলিয়াস হোসেন জানান,
“মুরগিতে রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা প্রয়োজন। চিকিৎসা না পেয়ে অনেক সময় বড় ক্ষতি হয়।”
দপ্তরের ব্যাখ্যা
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন,
“জনবল সংকটের কারণে অগ্রাধিকার দিয়েই জরুরি কাজগুলো করতে হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না—তবুও সীমিত জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
জেলায় একই চিত্র
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান,
“পুরো জেলাজুড়েই জনবল সংকট। শূন্যপদ পূরণে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগের সার্কুলার ইতোমধ্যে হয়েছে। নিয়োগ সম্পন্ন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
দুমকি উপজেলার খামারিরা দ্রুত জনবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় পদ পূরণ করে প্রাণিসম্পদ সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদনায় | এস এম মেহেদী হাসান | E-mail: rupantorsongbad@gmail.com
জাকির হোসেন হাওলাদার 



























