5:00 pm, Sunday, 7 December 2025

রেজা কিবরিয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ — সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ও সাবেক কূটনীতিক-অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল তুলে দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।

“আমরা গর্বিত”—মির্জা ফখরুল

যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
“আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।”
তিনি আরও বলেন,
“৩১ দফার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে রেজা কিবরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।”

“বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে গর্বিত”—রেজা কিবরিয়া

বক্তব্যে রেজা কিবরিয়া বলেন,
“বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। এই দলটির ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুইবার তারা ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে।”

তিনি দাবি করেন,
“ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পারিবারিক রক্ত—বাবা-মায়ের যোগ্যতা—বাংলাদেশে অনন্য। তিনি আজ যা শিখছেন, ভবিষ্যতে তা দেশের কাজে লাগবে।”

তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশকে এশিয়ার প্রথম তিন অর্থনীতির দেশের কাতারে তোলা অসম্ভব নয়। মানুষের ‘টপ ক্লাস’ দক্ষতা আছে। যদি বিএনপি সুযোগ পায়, দেশ প্রগতির নতুন পথ দেখবে।”

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা

রেজা কিবরিয়া জানিয়ে দেন, তিনি হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান।
বিএনপি ইতোমধ্যে ২২৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি এখনো খালি রাখা হয়েছে।

বিএনপি সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি

যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পটভূমি

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর আগে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে দলটি বিভক্ত হলে তিনি গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানেও বিভক্তি দেখা দিলে তিনি আমজনতার দল গঠন করেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

নির্বাচনী মৌসুমে সক্রিয়তা—মৌলভীবাজার–৩ আসনে আলোচনায় রেজিনা নাসের

রেজা কিবরিয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান

Update Time : 01:57:05 pm, Monday, 1 December 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ — সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ও সাবেক কূটনীতিক-অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল তুলে দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।

“আমরা গর্বিত”—মির্জা ফখরুল

যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন,
“আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।”
তিনি আরও বলেন,
“৩১ দফার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে রেজা কিবরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।”

“বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে গর্বিত”—রেজা কিবরিয়া

বক্তব্যে রেজা কিবরিয়া বলেন,
“বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। এই দলটির ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুইবার তারা ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে।”

তিনি দাবি করেন,
“ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পারিবারিক রক্ত—বাবা-মায়ের যোগ্যতা—বাংলাদেশে অনন্য। তিনি আজ যা শিখছেন, ভবিষ্যতে তা দেশের কাজে লাগবে।”

তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশকে এশিয়ার প্রথম তিন অর্থনীতির দেশের কাতারে তোলা অসম্ভব নয়। মানুষের ‘টপ ক্লাস’ দক্ষতা আছে। যদি বিএনপি সুযোগ পায়, দেশ প্রগতির নতুন পথ দেখবে।”

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা

রেজা কিবরিয়া জানিয়ে দেন, তিনি হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান।
বিএনপি ইতোমধ্যে ২২৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি এখনো খালি রাখা হয়েছে।

বিএনপি সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি

যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পটভূমি

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর আগে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে দলটি বিভক্ত হলে তিনি গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানেও বিভক্তি দেখা দিলে তিনি আমজনতার দল গঠন করেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।