12:43 pm, Sunday, 23 November 2025

চা-শ্রমিক সংঘের অভিযোগ: শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চা-শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:40:46 pm, Thursday, 20 November 2025
  • 47 Time View

মৌলভীবাজার | ২০ নভেম্বর ২০২৫ — মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিক সংঘ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি প্রণীত শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চা-শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষা করেছে। ২০ নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল অলমিক ও সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা এ তথ্য জানিয়ে শ্রম আইনের বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রম আইনের ১১৫ ধারায় সকল শ্রমিক বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কথা থাকলেও চা-শ্রমিকদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। একইভাবে ১১৭ ধারায় অন্যান্য খাতের শ্রমিক ১৮ দিনের কাজে ১ দিন মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পান, কিন্তু চা-শ্রমিকরা ২২ দিন কাজের বিনিময়ে মাত্র ১ দিনের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পাচ্ছেন।

চা-শ্রমিকরা ভুমির অধিকার সংরক্ষণের দাবিও জানাচ্ছেন। শ্রম আইনের ৩২ ধারায় কোনো শ্রমিককে চাকুরি শেষে ৬ মাসের মধ্যে বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে, যা চা-বাগানের স্বাভাবিক বসবাসের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

চা-শ্রমিক সংঘ জানিয়েছে, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ চা-শ্রমিকদের বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১০ দফা দাবি শ্রম উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হলেও অধ্যাদেশে তা গ্রহণ করা হয়নি। বিশেষ করে ২৩ ও ২৬ ধারা শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি এবং মালিকদের একচ্ছত্র ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ, জাতীয় ভিত্তিক ইউনিয়ন গঠন ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে সংশোধনের দাবিও অনসাধ্য থেকে গেছে।

চা-শ্রমিক সংঘের নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেছেন, “চা-শ্রমিকদের স্বার্থে বৈষম্যপূর্ণ ধারা সংশোধন, নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ এবং গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবি আমরা অব্যাহত রাখব।”

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

চা-শ্রমিক সংঘের অভিযোগ: শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চা-শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে

Update Time : 07:40:46 pm, Thursday, 20 November 2025

মৌলভীবাজার | ২০ নভেম্বর ২০২৫ — মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিক সংঘ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি প্রণীত শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ চা-শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষা করেছে। ২০ নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল অলমিক ও সাধারণ সম্পাদক হরিনারায়ন হাজরা এ তথ্য জানিয়ে শ্রম আইনের বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রম আইনের ১১৫ ধারায় সকল শ্রমিক বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কথা থাকলেও চা-শ্রমিকদের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। একইভাবে ১১৭ ধারায় অন্যান্য খাতের শ্রমিক ১৮ দিনের কাজে ১ দিন মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পান, কিন্তু চা-শ্রমিকরা ২২ দিন কাজের বিনিময়ে মাত্র ১ দিনের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি পাচ্ছেন।

চা-শ্রমিকরা ভুমির অধিকার সংরক্ষণের দাবিও জানাচ্ছেন। শ্রম আইনের ৩২ ধারায় কোনো শ্রমিককে চাকুরি শেষে ৬ মাসের মধ্যে বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে, যা চা-বাগানের স্বাভাবিক বসবাসের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

চা-শ্রমিক সংঘ জানিয়েছে, গত ২৪ আগস্ট ২০২৫ চা-শ্রমিকদের বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১০ দফা দাবি শ্রম উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হলেও অধ্যাদেশে তা গ্রহণ করা হয়নি। বিশেষ করে ২৩ ও ২৬ ধারা শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি এবং মালিকদের একচ্ছত্র ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ, জাতীয় ভিত্তিক ইউনিয়ন গঠন ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে সংশোধনের দাবিও অনসাধ্য থেকে গেছে।

চা-শ্রমিক সংঘের নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেছেন, “চা-শ্রমিকদের স্বার্থে বৈষম্যপূর্ণ ধারা সংশোধন, নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সহজীকরণ এবং গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবি আমরা অব্যাহত রাখব।”