12:45 pm, Sunday, 23 November 2025

কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ঢাকা | ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় আজ ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেওয়া হবে।

সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামলার অন্যতম আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রায় এক বছর ধরে তিনি কারাগারে। রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ায় তার শাস্তির সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে প্রসিকিউশন।

রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে; সক্রিয় রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও। নিরাপত্তার স্বার্থে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মামলাটিতে পাঁচটি অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর তালিকা ছিল। ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য–জেরা সম্পন্ন হয়। ৯ কার্যদিন ধরে চলে প্রসিকিউশন ও রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

Update Time : 11:22:04 am, Monday, 17 November 2025
ঢাকা | ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় আজ ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেওয়া হবে।

সোমবার বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামলার অন্যতম আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রায় এক বছর ধরে তিনি কারাগারে। রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ায় তার শাস্তির সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে প্রসিকিউশন।

রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে; সক্রিয় রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও। নিরাপত্তার স্বার্থে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মামলাটিতে পাঁচটি অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর তালিকা ছিল। ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য–জেরা সম্পন্ন হয়। ৯ কার্যদিন ধরে চলে প্রসিকিউশন ও রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। রাজসাক্ষী হওয়ায় মামুনের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।