12:58 pm, Sunday, 23 November 2025

আগামী তিন বছরে ১১ লাখের বেশি মানুষকে পিআর দেবে কানাডা

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:53:03 pm, Friday, 7 November 2025
  • 18 Time View

আগামী তিন বছরে ১১ লাখের বেশি মানুষকে পিআর দেবে কানাডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী তিন বছরে ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে যাচ্ছে কানাডা সরকার।
অর্থনীতিতে অবদান রাখা দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরাই এই সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, নতুন করে ৭ লাখের বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে এই সুযোগকে কাজে লাগানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের জন্য।

শিক্ষার্থী ভিসা সীমিত থাকবে

সহসাই কানাডায় উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে না। গেলো বছরের ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এ বছরও শিক্ষার্থী ভিসার হার নিম্নমুখী থাকবে।
এমনকি আগামী তিন বছরও এ ধারা বজায় রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্ক কার্নি সরকার।

কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে,

  • ২০২৬ সালে আনা হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী,
  • ২০২৭ ও ২০২৮ সালে আনা হবে ১ লাখ ৫০ হাজার করে শিক্ষার্থী

তবে এক্ষেত্রে অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রাধিকার পাবেন।

গেলো বছর আবাসন সংকট ও চাকরির স্বল্পতা নিরসনে শিক্ষার্থী ভিসার লাগাম টানায় কানাডার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়ে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ

আইআরবির রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,

“২০২৬ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী আনার পরিকল্পনা আছে।
টেম্পোরারি ফরেইন ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে ২০২৬ সালে ২ লাখ ৩০ হাজার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ২ লাখ ২০ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম।”

তিনি আরও বলেন, “যারা হেলথ ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার—এ দুটি খাতে যারা আছেন বা আসতে চান, তাদের জন্য সুখবর আছে।
কানাডা সরকার আগামী পাঁচ বছরে এই দুই খাতে বিশাল ফান্ড বরাদ্দ করেছে, যা থেকে বোঝা যায়, এই সেক্টরগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চায় তারা।”

অর্থনীতি ও নীতি সংকট

বর্তমানে কানাডায় বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের ওপরে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক সংকটেও জড়িয়ে পড়েছে মার্ক কার্নি সরকার।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে অটোয়া প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন,
অর্থনীতিকে শক্তিশালী না করতে পারলে অভিবাসন ব্যবস্থাও ঝুঁকির মুখে পড়বে।


Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

আগামী তিন বছরে ১১ লাখের বেশি মানুষকে পিআর দেবে কানাডা

Update Time : 08:53:03 pm, Friday, 7 November 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী তিন বছরে ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে যাচ্ছে কানাডা সরকার।
অর্থনীতিতে অবদান রাখা দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরাই এই সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, নতুন করে ৭ লাখের বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে এই সুযোগকে কাজে লাগানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের জন্য।

শিক্ষার্থী ভিসা সীমিত থাকবে

সহসাই কানাডায় উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে না। গেলো বছরের ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এ বছরও শিক্ষার্থী ভিসার হার নিম্নমুখী থাকবে।
এমনকি আগামী তিন বছরও এ ধারা বজায় রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্ক কার্নি সরকার।

কানাডার অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে,

  • ২০২৬ সালে আনা হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী,
  • ২০২৭ ও ২০২৮ সালে আনা হবে ১ লাখ ৫০ হাজার করে শিক্ষার্থী

তবে এক্ষেত্রে অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রাধিকার পাবেন।

গেলো বছর আবাসন সংকট ও চাকরির স্বল্পতা নিরসনে শিক্ষার্থী ভিসার লাগাম টানায় কানাডার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়ে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ

আইআরবির রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,

“২০২৬ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী আনার পরিকল্পনা আছে।
টেম্পোরারি ফরেইন ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে ২০২৬ সালে ২ লাখ ৩০ হাজার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ২ লাখ ২০ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম।”

তিনি আরও বলেন, “যারা হেলথ ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার—এ দুটি খাতে যারা আছেন বা আসতে চান, তাদের জন্য সুখবর আছে।
কানাডা সরকার আগামী পাঁচ বছরে এই দুই খাতে বিশাল ফান্ড বরাদ্দ করেছে, যা থেকে বোঝা যায়, এই সেক্টরগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চায় তারা।”

অর্থনীতি ও নীতি সংকট

বর্তমানে কানাডায় বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের ওপরে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক সংকটেও জড়িয়ে পড়েছে মার্ক কার্নি সরকার।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে অটোয়া প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন,
অর্থনীতিকে শক্তিশালী না করতে পারলে অভিবাসন ব্যবস্থাও ঝুঁকির মুখে পড়বে।