1:20 pm, Sunday, 23 November 2025

দুমকিতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নারীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:54:21 pm, Thursday, 6 November 2025
  • 20 Time View

দুমকিতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ — নারীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ; থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের

জাকির হোসেন হাওলাদার, | দুমকি (পটুয়াখালী): জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসা. ফাতেমা বেগম (৫০)।
প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জমি বিরোধের পটভূমি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭–এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস।
পরবর্তীতে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ অনুযায়ী ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ অনুযায়ী ১৫ শতকের মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস।

এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম এবং নলিত দাসের অংশ ক্রয় করেন ইউনুস সিকদার।
পরে বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড সংশোধন মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

অভিযোগে ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি তিনি তার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে বিবাদীরা ঘরটি ভেঙে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে লোক ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।

ফাতেমা বেগম বলেন,
“বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।”

প্রতিপক্ষের দাবি

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন,
“গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।”

পুলিশের বক্তব্য

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

দুমকিতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নারীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি

Update Time : 07:54:21 pm, Thursday, 6 November 2025

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ; থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের

জাকির হোসেন হাওলাদার, | দুমকি (পটুয়াখালী): জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসা. ফাতেমা বেগম (৫০)।
প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জমি বিরোধের পটভূমি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭–এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস।
পরবর্তীতে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ অনুযায়ী ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ অনুযায়ী ১৫ শতকের মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস।

এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম এবং নলিত দাসের অংশ ক্রয় করেন ইউনুস সিকদার।
পরে বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড সংশোধন মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

অভিযোগে ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি তিনি তার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে বিবাদীরা ঘরটি ভেঙে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে লোক ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।

ফাতেমা বেগম বলেন,
“বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।”

প্রতিপক্ষের দাবি

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন,
“গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।”

পুলিশের বক্তব্য

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”