12:47 pm, Sunday, 23 November 2025

লালমনিরহাটে প্রসূতি সেবার অর্থ আত্মসাৎ, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে তোলপাড়

প্রসূতি সেবার অর্থ আত্মসাৎ, লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে তোলপাড়

লালমনিরহাট, ২৯ অক্টোবর ২০২০২৫-

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রুমা খাতুন-এর বিরুদ্ধে প্রসূতি সেবা সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে এই অভিযোগ ঘিরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রসূতি সেবা গ্রহণকারী কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন— সরকারি সেবা প্রাপ্তির নামে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়, যা সরকারি নিয়মবহির্ভূত। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফুল ইসলাম রিপন গত আগস্ট মাসে লিখিতভাবে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়,
রুমা খাতুন নিয়মিত সেবার পাশাপাশি প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য নির্ধারিত সরকারি অনুদানের বাইরে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আসছেন। এছাড়া সরকারি সরঞ্জাম ও সেবার কিছু অংশ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার এবং আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ শাহজালাল সাজু এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। ১৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে স্মারক নং ৫৯.১১.৫২০০.০০০.২৭.০০৯.২৫.৩১৮(৫) অনুযায়ী এক মেডিকেল অফিসারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৭-এর ২(ঘ) উপবিধি মোতাবেক তাঁকে দশ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয়ভাবে এই তদন্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। অনেকের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই ঐ কেন্দ্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অনিয়ম চলে আসছে, তবে প্রথমবারের মতো কোনো সাংবাদিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক তদন্তে গড়িয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—
সরকারি সেবা খাতে অনিয়মের অভিযোগের পরও কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথ তদারকি ও জবাবদিহিতা নেই?

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

লালমনিরহাটে প্রসূতি সেবার অর্থ আত্মসাৎ, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে তোলপাড়

Update Time : 01:47:11 pm, Wednesday, 29 October 2025

লালমনিরহাট, ২৯ অক্টোবর ২০২০২৫-

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রুমা খাতুন-এর বিরুদ্ধে প্রসূতি সেবা সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে এই অভিযোগ ঘিরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রসূতি সেবা গ্রহণকারী কয়েকজন নারী অভিযোগ করেছেন— সরকারি সেবা প্রাপ্তির নামে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়, যা সরকারি নিয়মবহির্ভূত। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফুল ইসলাম রিপন গত আগস্ট মাসে লিখিতভাবে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়,
রুমা খাতুন নিয়মিত সেবার পাশাপাশি প্রসূতি সেবা প্রদানের জন্য নির্ধারিত সরকারি অনুদানের বাইরে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আসছেন। এছাড়া সরকারি সরঞ্জাম ও সেবার কিছু অংশ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার এবং আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার কথাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ শাহজালাল সাজু এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। ১৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে স্মারক নং ৫৯.১১.৫২০০.০০০.২৭.০০৯.২৫.৩১৮(৫) অনুযায়ী এক মেডিকেল অফিসারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৭-এর ২(ঘ) উপবিধি মোতাবেক তাঁকে দশ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয়ভাবে এই তদন্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। অনেকের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই ঐ কেন্দ্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অনিয়ম চলে আসছে, তবে প্রথমবারের মতো কোনো সাংবাদিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক তদন্তে গড়িয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—
সরকারি সেবা খাতে অনিয়মের অভিযোগের পরও কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথ তদারকি ও জবাবদিহিতা নেই?