ঢাকা, ২৪ অক্টোবর ২০২৫: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ–এর মৃত্যু নিয়ে প্রায় তিন দশক পর আবারও আলোচনার ঝড় উঠেছে। মামলার এক আসামি রেজভী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দাবি করেছেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি— এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
রেজভীর বক্তব্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলিস্তানের একটি বারে সালমান শাহকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনায় অংশ নেন সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডন, ফারুক, ডেভিড, জাভেদসহ আরও কয়েকজন।
জবানবন্দিতে রেজভী বলেন, “মোট ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সালমান শাহকে হত্যা করার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৬ লাখ টাকা হত্যার আগে এবং বাকি টাকা হত্যার পর দেওয়ার কথা ছিল।”
তিনি আরও দাবি করেন, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা এবং তার মা হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। রেজভীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই রাতে সালমানকে প্রথমে অচেতন করা হয় এবং পরে তাকে হত্যা করে ঘটনাস্থলটি আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়।
আরেক আসামি রুবীও তদন্তে স্বীকার করেছেন যে, সালমান শাহর মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড ছিল।
এই নতুন তথ্য প্রকাশের পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জনমত। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন জবানবন্দি মামলার তদন্তে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।
সালমান শাহর পরিবারও দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, এটি আত্মহত্যা নয় বরং হত্যা। সালমানের মা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা শুরু থেকেই সত্য বলেছি। আজ সেই সত্য প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।”
অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এস এম মেহেদী হাসান 




























