‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে থাকা কে এই তরুণী!
ঢাকা | ০৫ আগস্ট ২০২৫ — ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বছরপূর্তিতে আয়োজিত ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়ানো এক তরুণীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে—কে এই তরুণী?
জানা গেছে, এই তরুণী সাবরিনা আফরোজ শাবন্তী, যিনি ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই শহীদ হওয়া মাহামুদুর রহমান সৈকতের ছোট বোন। শহীদ সৈকত ছিলেন ঐ সময়কার ছাত্র-আন্দোলনের এক প্রতীকী মুখ, যিনি ঢাকার শাহবাগ এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
শাবন্তীর আবেগঘন বক্তব্য
ঘোষণাপত্র পাঠের ঠিক আগে সংক্ষিপ্ত একটি আবেগঘন বক্তব্য দেন শাবন্তী। তিনি বলেন—
“এক বছর আগে ১৯ জুলাই, আমার পরিবার যখন আমার ভাইয়ের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে শনাক্ত করে, তখন তার মাথায় ছিল রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ। মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল গান শট। আমার ভাইয়ের উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ২ ইঞ্চি—এই উচ্চতা নিয়ে আমার বাবা গর্ব করতেন। অথচ সেই উচ্চতাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন,
“আজ আমরা দেখি, আমরা পুরো দেশের পরিবার হয়ে গেছি। আমরা স্বস্তি পাই। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠি। গণঅভ্যুত্থানের এই সফলতার মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছি, তা যেন কখনও ভ্রান্ত না হয়।”
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ কী?
৫ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন।
এটি মূলত ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তৈরি একটি ঐতিহাসিক দলিল। বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
ভিডিও লিংক (YouTube):
“জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ কী? | Interim Government & Political Reform Explained” https://youtu.be/UfHAu7VmDmo
— এস এম মেহেদী হাসান/ সালেহ/ তাবাসসুম
এস এম মেহেদী হাসান 
























