তুলে নিয়ে বিয়ে, সালিশ বৈঠকে কিশোরীর বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম | ৩ আগস্ট ২০২৫ — চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্দ্বীপ কলোনিতে সালিশ বৈঠকে কিশোরীর বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করা হয়। এ ঘটনার মীমাংসা করতে গিয়ে সালিশে খুন হন মেয়েটির বাবা ফখরুল ইসলাম (৫৮)।
নিহত ফখরুল ইসলাম সন্দ্বীপ কলোনির ফয়জল মাওলার ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিম (৪৫) নামে দুজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
থানা সূত্র জানায়, গত ২৭ জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় সুবর্ণচরের নির্মাণশ্রমিক রিফাত (২২)। তার সহযোগী ছিল জাহিদ, বাদল, রিপন ও আবদুর রহমান। মেয়েটিকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে জোর করে বিয়ের কাগজে সই করানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এরপর গত শুক্রবার রাতে আমতলী সন্দ্বীপ কলোনিতে সালিশ বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষ। বৈঠকে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ছেলেপক্ষ ফখরুল ইসলামকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। মাথা ও বুকে গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চৌধুরীহাট ম্যাক্স কেয়ারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার এসআই ইমরান জানান, “ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।” তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং আরও আসামি শনাক্তে অভিযান অব্যাহত আছে।”
— মাহমুদুল হাসান/ সালেহ/ তাবাসসুম
মাহমুদুল হাসান 



























