ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতি; পদ হারালেন জামায়াত নেতা
লালমনিরহাট |০২ আগষ্ট ২০২৫ —
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর স্ক্যান করে অনুমোদন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা জামায়াতের আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর জরুরি বৈঠকে তাকে দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জেলা জামায়াতের আমির আবু তাহের জানান, অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরপরই দলীয় সভা ডাকা হয়। সভায় হাছেন আলীকে উপজেলা আমির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চারজন অধ্যক্ষ, জটিলতা এমপিওভুক্তিতে
হাতীবান্ধা মডেল কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। একাধিক পক্ষ নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করায় শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার ঘোষিত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালার আলোকে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীম মিঞা ২০২৫ সালের ১৩ মে হাছেন আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন।
নিয়োগের নামে জালিয়াতি অভিযোগ
নিয়োগ পাওয়ার পর হাছেন আলী কলেজে নতুন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) ১৩টি ফাইল পাঠান। এসব ফাইলে ইউএনওর স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, “আমি এসব ফাইলে স্বাক্ষর করিনি। আমার অনুমতি ছাড়াই স্ক্যান করা স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে, যা জালিয়াতি। এজন্য তাকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অধ্যক্ষ হাছেন আলীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
— কল্লোল আহমেদ / সালেহ/ এস এম মেহদেী
কল্লোল আহমেদ 
























