সাংবাদিক ছিনতাইয়ের শিকার, ওসি বললেন—‘দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে তো হবেই’
ঢাকা | ২৪ জুলাই ২০২৫ — রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক বণিক বার্তার সহসম্পাদক আহমাদ ওয়াদুদ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ‘তিন রাস্তার মোড়’ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং চাপাতি দিয়ে আঘাত করে।
ঘটনার ৫ মিনিটের মধ্যেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও তার স্ত্রী মোহাম্মদপুর থানায় পৌঁছান। তবে অভিযোগ করলেও তৎক্ষণাত পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাননি তিনি।
ওয়াদুদের অভিযোগ, থানায় ডিউটি অফিসাররা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন এবং একটি ফোন নম্বর দিয়ে এএসআই আনারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পুলিশের এ অবহেলায় তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যাওয়ার আহ্বান জানালে জানানো হয়, ‘এটা সম্ভব নয়’।
অবশেষে তিনি ওসি ইফতেখার হাসানের কক্ষে গেলে, সেখানে আরও বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা হয়। ওসি তাকে বলেন—
“আমি ওসি হয়েও এই কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!”
পরবর্তীতে তিনি এএসআই আনারুলের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গেলে ছিনতাইকারীদের সেখানেই বসে থাকতে দেখেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে পাশের একটি জায়গায় গিয়ে কথোপকথনে সময় ব্যয় করেন। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ধীরে ধীরে সরে পড়ে।
পুলিশ কী বলছে?
এএসআই আনারুল সাংবাদিকদের জানান, একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান।
ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ভুক্তভোগী মূল সড়ক থেকে গলিতে ঢুকে মূত্রত্যাগ করছিলেন, তখনই ঘটনা ঘটে। ‘দামি ফোন’ সংক্রান্ত মন্তব্য তিনি নাকি আগের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে করেছেন, এ ঘটনার নয়।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে:
গত মাসের ২৭ তারিখেও দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক নূরে আলম সিদ্দিকী বসিলায় অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের শিকার হন। দুই মাসে দুটি ঘটনার পর, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজধানীর মতো জায়গায় সাংবাদিকদের দিনের শেষে থানায় গিয়েও যদি নিরাপত্তা না মেলে, তবে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা কোথায়? পুলিশের দায়িত্বহীন আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
— তাবাসসুম/সালেহ / এস এম মেহেদী
Reporter Name 




























