মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ ‘নিষিদ্ধ ছাত্রনেতা’ নেতা সামাদ ভারতে পালাতে গিয়ে বেনাপোলে আটক
বেনাপোল, যশোর | ২৩ জুলাই ২০২৫ — বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে বুধবার সকালে ধরা পড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের (বহিষ্কৃত) সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর সামাদ আজাদ (৩১)।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর থানায় ৭টি ভয়াবহ মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাস, সংঘবদ্ধ হামলা, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।
পাসপোর্টে ছিল স্টপলিস্ট, তবুও ভিসা নিয়ে ভারতে!
সামাদের পাসপোর্ট নম্বর A13959192, আর ঠিকানা মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুর গ্রামে। তিনি ভারতের উদ্দেশে মেডিকেল ভিসাতে পাড়ি জমাতে চাইছিলেন। কিন্তু পাসপোর্ট ছিল ‘স্টপলিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত, ফলে ইমিগ্রেশন সিস্টেমেই তার নাম ধরা পড়ে যায়।
কোন মামলাগুলোতে নাম?
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
-
বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা (১৪৩, ৩০৭, ৩২৬, ৫০৬, ৩৮০ ইত্যাদি)।
-
সন্ত্রাস, শারীরিক আঘাত, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার মতো অপরাধে তিনি অভিযুক্ত।
-
অধিকাংশ মামলা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে দায়ের হয়, যেটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়কাল।
আইনি ব্যবস্থা
ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রশ্ন উঠছে—এই পলাতক এতদিন কোথায় ছিলেন?
সামাদের ধরা পড়ার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এতগুলো মামলার আসামি এতদিন পলাতক ছিলেন এবং তিনি কীভাবে মেডিকেল ভিসা নিয়ে সীমান্তে পৌঁছে যান? এ ঘটনায় বর্ডার ইন্টেলিজেন্স ও ভিসা সিস্টেমের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
— মিনারা আজমী/ তাবাসসুম/ মেহেদী হাসান
কল্লোল আহমেদ 




























