বান্দরবানে দুই খুনের ঘটনায় পুলিশের ব্যাখ্যা: অপহরণ ও ‘অসাবধানতাবশত’ গুলিতে প্রাণহানি
বান্দরবান | ২৩ জুলাই ২০২৫ — বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় ঘটেছে দুটি পৃথক হত্যাকাণ্ড। এসব ঘটনায় বিস্তারিত তুলে ধরতে ২২ জুলাই দুপুরে বান্দরবান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি ঘটনা অপহরণ ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, আরেকটি ঘটেছে ‘অসাবধানতাবশত’ গুলিবর্ষণের ফলে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে অপহরণ ও হত্যা
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার জানান, গত ১৮ জুলাই নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে সৈয়দ নূর নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় ২১ জুলাই ডুলুবুনিয়া এলাকা থেকে।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে—
-
মোহাম্মদ ইছমাইল (২৭)
-
রোহিঙ্গা নাগরিক রহমত উল্লাহ (৩২)
-
আলী হোসেন ওরফে মুনিয়া (২৬)
আলীকদমে পর্যটকের গুলিতে মৃত্যু
একটি ভিন্ন ঘটনায়, ঢাকার ডেমরার বাসিন্দা ত্বহা বিন আমীন (২৪) বান্দরবানের আলীকদমে বেড়াতে গিয়ে বন্ধুর ছোড়া গুলিতে নিহত হন।
ত্বহা ও তার চার বন্ধু ১৯ জুলাই আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের তরনীপাড়ায় বেড়াতে যান। তারা স্থানীয় একটি জুমঘরে অবস্থান নেওয়ার সময় সেখানে রাখা বন্দুক নিয়ে ছবি তুলছিলেন। তখন বন্ধু নাবিলের হাত থেকে অসাবধানতাবশত ট্রিগার চেপে গেলে গুলি ত্বহার বুকে লাগে—ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ত্বহার মা সালমা আক্তার বাদী হয়ে নাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেছে, যেখানে নাবিল ও জুমঘরের মালিক রিং রাও ম্রো আসামি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
-
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল করিম
-
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা
-
বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু
-
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকির
-
জেলার অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা
পুলিশ জানিয়েছে, দুটি মামলাতেই আইনগত অগ্রগতি হচ্ছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।
— সালেহ/ তাবাসসুম/ মেহেদী
নিজস্ব প্রতিবেদক 




























