দুমকির লেবুখালীতে, পায়রা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার
দুমকি, পটুয়াখালী | ২২ জুলাই ২০২৫ — পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ও আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পায়রা নদীর আকস্মিক ভাঙনে শতাধিক পরিবার সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভারানি খাল ও বাহেরচর এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
ভাঙনের ফলে বহু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, কবরস্থান, গাছপালা ও রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার বসতঘর ভেঙে মালামাল রক্ষায় সরকারি রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের চোখেমুখে আতঙ্ক, উদ্বেগ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা স্পষ্ট।
স্থানীয়দের দাবি, গত পাঁচ বছরে দুই শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। এ সময় কেউই সরকারি সহায়তা বা জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি সহানুভূতির মুখ দেখেনি। কিছু পরিবার পাউবোর বেড়িবাঁধের পাশে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছে, আবার কেউ কেউ শহরে পাড়ি দিয়েছে।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “আমাদের বাহেরচর গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিছু পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসনের কাজ সময়সাপেক্ষ।”
দুমকি উপজেলার ইউএনও আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রেজা আহম্মেদ জানান, “ভাঙনরোধে একটি স্থায়ী প্রকল্পের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
— সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মেহেদী
জাকির হোসেন হাওলাদার 



























