1:36 pm, Sunday, 23 November 2025

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার: প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন

হিউস্টন, টেক্সাস | ২১ জুলাই ২০২৫ —

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মাকসুদ রহমান এক যুগান্তকারী গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পচনশীল ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ-কে উন্নতমানের শক্তিশালী উপাদানে রূপান্তর করেছেন। এই পরিবেশবান্ধব উপাদান পানির বোতল, প্যাকেজিং, এমনকি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ব্যান্ডেজ তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।

গত ৮ জুলাই হিউস্টন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গবেষণাটি ‘Nature Communications’-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে বিপ্লব ঘটাতে পারে।

গবেষণার মূল উদ্ভাবন কী?

এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ, যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এবং পরিবেশে সহজেই পচে যায়। এতে বোরন নাইট্রাইড ন্যানোশিট মেশানো হয়েছে, যা উপাদানটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। এর ফলে তৈরি হওয়া হাইব্রিড ম্যাটেরিয়াল সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে বেশি টেনসাইল শক্তি ধারণ করতে পারে।

গবেষণায় দেখানো হয়, বিশেষ ধরনের ঘূর্ণায়মান কালচার ডিভাইস ব্যবহার করে উন্নতমানের সেলুলোজ ফাইবার উৎপাদন সম্ভব, যা এই প্রকল্পের একটি মৌলিক দিক।

কারা গবেষণা করেছেন?

এই প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. মাকসুদ রহমান, যার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের রাইস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী এম এ এস আর সাদী, যিনি প্রথম গবেষণার সূচনা করেছিলেন। দুজনই বাংলাদেশের বুয়েট

থেকে গ্র্যাজুয়েট।

গবেষণা টিমে আরও ছিলেন:

  • শ্যাম ভক্ত

  • ইউফেই চুই

  • সাকিব হাসান

  • বিজয় হরিকৃষ্ণান

  • ইভান আর সিকুয়েরা

  • ম্যাটিও প্যাসকোয়ালি

  • ম্যাথু ব্যানেট

  • পুলিকেল এম অজয়ন

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

ড. মাকসুদ রহমান বলেন:

“এই শক্তিশালী, বহুমুখী ও পরিবেশবান্ধব ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ শিটগুলো বিভিন্ন শিল্পে প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে, এবং এটি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

এই আবিষ্কার প্লাস্টিক দূষণ রোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং বৈশ্বিক শিল্পে নতুন এক পথ উন্মোচন করতে পারে।

প্রতিবেদক : হাকিকুল ইসলাম খোকন

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মেহেদী

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

দ্রব্যমূল্য কমানো ও সর্বস্তরে রেশনিং চালুর দাবি

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার: প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন

Update Time : 07:55:40 pm, Monday, 21 July 2025

হিউস্টন, টেক্সাস | ২১ জুলাই ২০২৫ —

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মাকসুদ রহমান এক যুগান্তকারী গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পচনশীল ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ-কে উন্নতমানের শক্তিশালী উপাদানে রূপান্তর করেছেন। এই পরিবেশবান্ধব উপাদান পানির বোতল, প্যাকেজিং, এমনকি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ব্যান্ডেজ তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।

গত ৮ জুলাই হিউস্টন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গবেষণাটি ‘Nature Communications’-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে বিপ্লব ঘটাতে পারে।

গবেষণার মূল উদ্ভাবন কী?

এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ, যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এবং পরিবেশে সহজেই পচে যায়। এতে বোরন নাইট্রাইড ন্যানোশিট মেশানো হয়েছে, যা উপাদানটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। এর ফলে তৈরি হওয়া হাইব্রিড ম্যাটেরিয়াল সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ে বেশি টেনসাইল শক্তি ধারণ করতে পারে।

গবেষণায় দেখানো হয়, বিশেষ ধরনের ঘূর্ণায়মান কালচার ডিভাইস ব্যবহার করে উন্নতমানের সেলুলোজ ফাইবার উৎপাদন সম্ভব, যা এই প্রকল্পের একটি মৌলিক দিক।

কারা গবেষণা করেছেন?

এই প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. মাকসুদ রহমান, যার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের রাইস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী এম এ এস আর সাদী, যিনি প্রথম গবেষণার সূচনা করেছিলেন। দুজনই বাংলাদেশের বুয়েট

থেকে গ্র্যাজুয়েট।

গবেষণা টিমে আরও ছিলেন:

  • শ্যাম ভক্ত

  • ইউফেই চুই

  • সাকিব হাসান

  • বিজয় হরিকৃষ্ণান

  • ইভান আর সিকুয়েরা

  • ম্যাটিও প্যাসকোয়ালি

  • ম্যাথু ব্যানেট

  • পুলিকেল এম অজয়ন

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

ড. মাকসুদ রহমান বলেন:

“এই শক্তিশালী, বহুমুখী ও পরিবেশবান্ধব ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ শিটগুলো বিভিন্ন শিল্পে প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে, এবং এটি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

এই আবিষ্কার প্লাস্টিক দূষণ রোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং বৈশ্বিক শিল্পে নতুন এক পথ উন্মোচন করতে পারে।

প্রতিবেদক : হাকিকুল ইসলাম খোকন

সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মেহেদী