মৌলভীবাজার | ১৪ জুলাই ২০২৫ —
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আলোচিত কলেজছাত্র হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা পুলিশ। অনলাইনে জুয়া ও দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত হৃদয় কমলগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের কালীঘাট রোডে ওয়াইফাই অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
কোথায় ও কিভাবে উদ্ধার
গত ৭ জুলাই সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানে এক গাছের নিচে বেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় হৃদয়ের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
গ্রেফতার দুই আসামি
গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
- কাজল মিয়া (২০): টমটম চালক, কিশোরগঞ্জের দাড়িয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
- সিরাজুল ইসলাম (২১): বাদাম বিক্রেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
দুজনেই বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের শাহীবাগ এলাকায় থাকতেন এবং মাদকাসক্ত ছিলেন।
হত্যার মোটিভ ও পরিকল্পনা
হৃদয় জুয়ায় হেরে বন্ধুর কাছ থেকে ধার নেওয়া ২২ হাজার টাকা শোধ করতে না পারায় বিরোধের সূত্রপাত। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, পাওনা টাকা ও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পর বিরোধ তীব্র হয়। ৬ জুলাই রাতে চা বাগানে ডেকে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহ গাছের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয় যাতে আত্মহত্যা মনে হয়।
উদ্ধারকৃত আলামত
আসামিদের স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা, স্কুল ব্যাগ, হৃদয়ের মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল। নিহতের মোবাইল মাত্র ২৫০ টাকায় বিক্রি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশের সাফল্য
পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে গঠিত বিশেষ টিম সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুই আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাপুর থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের ১৪ জুলাই আদালতে হাজির করা হবে।
শেষ কথা
শ্রীমঙ্গলবাসীর জন্য এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। জেলা পুলিশের তৎপরতায় এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছে।
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
প্রতিবেদক : এস এম মেহেদী হাসান
সম্পাদনায় : সুমাইয়া/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল
Reporter Name 


























