বিরল, দিনাজপুর | ১১ জুলাই ২০২৫ —
ভূমিকা
উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী উপজেলা বিরল আবারও আলোচনায় এসেছে মাদকের থাবা নিয়ে। দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সফল অভিযান দেখিয়েছে, মাদক চক্র শিকড় গেড়েছে গ্রাম-গঞ্জের ঘরে ঘরে। এই বাস্তবতায় কেবল অভিযান নয়, ধর্মীয় দিকনির্দেশনা, কঠোর আইন প্রয়োগ ও সচেতন সমাজ গড়াই একমাত্র সমাধান।
মূল প্রতিবেদন
দিনাজপুর জেলা ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে বিরলের ভান্ডারা ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে। অভিযানে মোঃ করিমুল ইসলাম (৪২) ও তার সহযোগী মোঃ শরিফুল (৪৫) পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পলাতক দুইজনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা চলমান রয়েছে।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর বলেন,
“মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মানি। এলাকাবাসীর সহায়তা থাকলে এই ব্যাধি নির্মূল সম্ভব।”
ইসলামের নির্দেশনা
বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, “সব নেশাজাতীয় দ্রব্যই ইসলামে ‘খমর’ বা মদের অন্তর্ভুক্ত। হাদিসে আছে — যে ব্যক্তি সামান্য এক ঢোক মদ পান করবে, তাকে দোজখিদের পচা পুঁজ পান করানো হবে (মেশকাত শরিফ, হাদিস ৩১৮)। তাই মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন দুটোই সম্পূর্ণ হারাম।”
আইনজীবীর দৃষ্টিকোণ
সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন,
“মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুসারে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও কার্যকারিতা সীমিত। দিনাজপুরে গত ৬ মাসে প্রায় ৪৫০ মাদক মামলা হয়েছে, সাজা হয়েছে মাত্র ২৫% আসামির।”
বিশেষজ্ঞের মন্তব্য
ড্রাগ পলিসি বিশ্লেষক ড. তামান্না আক্তার বলেন, “আইনি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দ্রুত বিচার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বাড়াতে হবে। সমাজ সচেতন না হলে মাদক দমন সম্ভব নয়।”
চিকিৎসকের সতর্কতা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তানজিন আলম চৌধুরী বলেন, “ফেনসিডিল সেবনে স্নায়ুতন্ত্র থেকে লিভার-কিডনি পর্যন্ত স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত সেবন প্রাণঘাতীও হতে পারে। তাই আগে প্রতিরোধ, পরে চিকিৎসা — এটাই সর্বোত্তম উপায়।”
উপসংহার
বিরলের ঘটনা প্রমাণ করছে, অভিযান আর ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বিচার ও সামাজিক প্রতিরোধই পারে যুব সমাজকে রক্ষা করতে।
রূপান্তর সংবাদ-এ প্রতিনিধি হোন!
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা সিভি পাঠান: E-mail : rupantorsongbad@gmail.com
প্রতিবেদক : মুরছালিন হোসেন
সম্পাদনায় : সুমাইয়া ইসলাম/ তাবাসসুম/ মাহমুদুল
Reporter Name 




























