ঢাকা । ৩ জুলাই ২০২৫ —
অসাধু আমদানিকারকদের দৌরাত্মে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশীয় কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্প। ফলে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ আশঙ্কার কথা জানান বক্তারা।
‘কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্পখাতের রপ্তানি সম্ভাবনা: ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য আর নয়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (ASBMEP)।
প্রধান অতিথি জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলিম আখতার খান বলেন, “ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। দেশীয় শিল্প রক্ষায় এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট বলেন, “অসাধু আমদানি বন্ধ না হলে দেশীয় শিল্প বিকাশ ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত হবে।”
আইবিএফবি সহ-সভাপতি এমএস সিদ্দিকী বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়বে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট তৈরি করবে।”
চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন জানান, শুধু রঙিন প্রসাধনী খাতে বছরে আনুমানিক ১,৬০০ কোটি টাকার আমদানির বিপরীতে সরকার পায় মাত্র ১৭ কোটি টাকার রাজস্ব, যা বিপুল শুল্ক ফাঁকির ইঙ্গিত দেয়।
বক্তারা শুল্ক ফাঁকি ও ভেজাল পণ্য রোধে কসমেটিকস পণ্যের ওপর শুল্কহার সমন্বয়সহ দুদককে তদন্তের আহ্বান জানান।
প্রতিবেদক : মাহমুদুল হাসান
সম্পাদনায় : আসমা/ সালেহ/ মেহেদী
Reporter Name 


























